ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২১ মে ২০২৫
আপডেট : ২১ মে ২০২৫
বুধবার (২১ মে) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই ঘোষণা দেন।
ইশরাক লেখেন:
“আন্দোলনকারী জনতার প্রতি সর্বাত্মক সংহতি জানাতে এবং তাদের সঙ্গে যতদিন প্রয়োজন রাজপথে সহাবস্থান করার জন্য অল্প সময়ের মধ্যেই হাজির হবো ইনশাআল্লাহ।”
এর আগে দুপুরে অন্য এক পোস্টে তিনি সমর্থকদের উদ্দেশ্যে রাজপথ না ছাড়ার কড়া নির্দেশ দেন। তিনি বলেন,
“নির্দেশ একটাই— যতক্ষণ দরকার রাজপথ ছেড়ে ওঠে আসা যাবে না।”
বিকেলে আরেক পোস্টে ইশরাক হোসেন অভিযোগ করেন, গেজেট প্রকাশের পরও ডিএসসিসির বরখাস্তকৃত মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপ সৃষ্টি করে আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন,
“নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। কোর্টের রায় কার্যকর করতে তাদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তাপসের পক্ষে চিঠি দিয়ে নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপ প্রয়োগ একটি চরম অগ্রহণযোগ্য কাজ।”
তিনি আরও দাবি করেন,
“তাপসের টাকা খেয়ে একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে— এই অভিযোগ কি ভুল?”
ইশরাকের শপথ বিলম্বে ক্ষুব্ধ হয়ে তার সমর্থকরা বুধবার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে অবস্থান নেন। মৎস্য ভবন, কাকরাইল, হাইকোর্ট গেট এলাকা একসময় জনসমুদ্রে পরিণত হয় এবং রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এতে আশপাশের এলাকায় যানচলাচলে মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয়।
বৃষ্টির মধ্যেও আন্দোলন অব্যাহত রাখেন আন্দোলনকারীরা। তারা স্লোগান দিতে থাকেন:
“ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দাও”
“আসিফের পদত্যাগ চাই”
“শপথ নিয়ে টালবাহানা চলবে না”
এদিকে দুপুরে ইশরাককে শপথ পড়াতে বিলম্ব প্রসঙ্গে দায়েরকৃত রিটের শুনানি শেষে আদালত বৃহস্পতিবার (২২ মে) আদেশের দিন ধার্য করেছেন। বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।