ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৫
আপডেট : ২০ জুন ২০২৫
দ্য ইকোনমিস্ট ও ইউগভ পরিচালিত এক যৌথ জনমত জরিপে দেখা গেছে:
মাত্র ১৬% মার্কিনি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র সামরিকভাবে সংঘাতে জড়াবে;
বিপরীতে, ৬০% বিশ্বাস করেন, দেশটি এতে জড়াবে না;
এবং ২৪% এ বিষয়ে মত প্রকাশ করেননি।
এই জরিপে অংশ নিয়েছেন ১,৫১২ জন প্রাপ্তবয়স্ক মার্কিনি।
দলভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে:
৬৫% ডেমোক্র্যাট,
৬১% স্বাধীনচেতা (ইনডিপেনডেন্ট) এবং
৫৩% রিপাবলিকান সংঘাতে সামরিক জড়ানোর বিরোধী।
এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যে সম্ভাব্য যুদ্ধ জড়িয়ে পড়া নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিজের সমর্থক 'মাগা' (Make America Great Again) শিবিরেও বিভাজন তৈরি হয়েছে।
বিশেষ করে ইরানবিরোধী পদক্ষেপ নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অবস্থান অনেক রক্ষণশীল সমর্থককে অস্বস্তিতে ফেলেছে।
স্টিভ ব্যানন, যিনি এক সময় ট্রাম্পের শীর্ষ উপদেষ্টা ছিলেন, তিনি এ বিষয়ে সতর্ক করে বলেন,
“আমরা ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ বলেছি যুদ্ধ নয়, মধ্যপ্রাচ্য আগুনে ঠেলে দেওয়া নয়।”
এমন মনোভাব প্রকাশ করছেন আরও অনেকে, যারা ২০১৬ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পের বিজয়ে ভূমিকা রেখেছিলেন।
গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের ভাষ্য বদলে গেছে। যেখানে একসময় শান্তিপূর্ণ কূটনৈতিক সমঝোতার কথা বলা হচ্ছিল, সেখানে এখন আলোচনায় এসেছে ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বোমা ব্যবহারের সম্ভাবনা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি ট্রাম্প প্রশাসন ইরানবিরোধী সামরিক পদক্ষেপ নেয়, তাহলে তা হবে নিজস্ব শিবিরের যুদ্ধবিরোধী নীতির বিরুদ্ধাচরণ। যার ফল হতে পারে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তার হ্রাস এবং ২০২৬ সালের কংগ্রেস নির্বাচনে রিপাবলিকানদের জন্য বিপর্যয়।
তেহরান ইতোমধ্যে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলকে সহায়তা করে হামলায় জড়ায়, তাহলে তারা এর জন্য “চড়া মূল্য” দিতে বাধ্য হবে। তবে সেই মূল্য কেমন হবে, সে বিষয়ে ইরান নির্দিষ্ট কিছু বলেনি।
এ মুহূর্তে মার্কিন প্রশাসনের সামনে দুটি পথ—কূটনৈতিক সমঝোতা বা সামরিক পথ।
অধিকাংশ নাগরিক যখন শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়, তখন যুদ্ধপন্থার ঝুঁকি রাজনৈতিকভাবেও বিপজ্জনক হতে পারে—বিশেষ করে যাঁরা ট্রাম্পের ‘যুদ্ধ নয়, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি’ অবস্থানে আস্থা রেখে তাঁকে সমর্থন করেছেন।
📌 সংক্ষেপে মূল বার্তা:
৬০% মার্কিনি ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে দূরে রাখতে চান।
রিপাবলিকানদের মধ্যে বিভাজন স্পষ্ট হচ্ছে।
ট্রাম্প নিজেই 'মাগা' শিবিরে সমালোচিত।
যুদ্ধ জড়ালে ২০২৬ সালের নির্বাচনে প্রভাব পড়তে পারে।