৫ আগস্ট ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থান দিবস’, ৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ ঘোষিত

বুধবার (২৫ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা এক সরকারি পরিপত্রে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। একইসাথে রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী আবু সাঈদ–এর স্মরণে ১৬ জুলাই ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

🔔 তিনটি জাতীয় দিবসের স্বীকৃতি

তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, এই দিবসগুলো এখন থেকে প্রতিবছর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় যথাযথভাবে পালন করতে হবে। এতে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।

👉 শ্রেণিভুক্তি অনুযায়ী:

• ৫ আগস্ট: ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থান দিবস’ – ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত জাতীয় দিবস

• ৮ আগস্ট: ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ – ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত

• ১৬ জুলাই: ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ – ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত

📜 পটভূমি: আন্দোলন, শহীদ ও পরিবর্তন

২০২৪ সালের জুলাই মাসে কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া ছাত্র-জনতার আন্দোলন দ্রুত সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে।
👉 ১৬ জুলাই রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
তিনি ছিলেন আন্দোলনের প্রথম শহীদ।

এরপর টানা বিক্ষোভ, অবরোধ ও গণ–অভ্যুত্থানের মুখে
🟥 ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারত পালিয়ে যান।

✅ মাত্র তিন দিন পর, ৮ আগস্ট
🎓 নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

🔍 বিশ্লেষণ

এই তিন দিবসকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্তকে অনেকে দেখছেন নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের চেতনা ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতি হিসেবে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মতে, এটি একদিকে আন্দোলন ও ত্যাগের মূল্যায়ন, অন্যদিকে নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতির ভিত্তি রচনা।