ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ০২ জুলাই ২০২৫
তিনি বলেন,
“প্রসিকিউশনের বক্তব্যের সঙ্গে আমার দ্বিমত আছে। এই রায়ে আমি সন্তুষ্ট নই। রায় পর্যালোচনা করে আইনি কাঠামোর ভেতরে থেকে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।”
বুধবার (২ জুলাই) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল নিম্নোক্ত সাজা ঘোষণা করে:
শেখ হাসিনাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড
শাকিল আকন্দ বুলবুলকে দুই মাসের কারাদণ্ড
রায়ে উল্লেখ করা হয়,
“আদালতের কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করা, সাক্ষীদের ভয় দেখানো ও হুমকি দেওয়ার মতো গুরুতর আদালত অবমাননার ঘটনায় এই সাজা দেওয়া হলো।”
আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করলে অথবা গ্রেপ্তার হলে সেদিন থেকেই সাজার মেয়াদ গণনা শুরু হবে।
আলোচ্য মামলাটি মূলত একটি অডিও বার্তাকে কেন্দ্র করে — যেখানে শেখ হাসিনাকে "২২৬ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি" এমন মন্তব্য করতে শোনা যায়। এই অডিওর ভিত্তিতে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আদালত অবমাননার অভিযোগ আনেন।
ট্রাইব্যুনাল ২৫ মে ব্যাখ্যা দিতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিলেও শেখ হাসিনা ও শাকিল আকন্দ কেউই আদালতে যাননি। ৩ জুন দ্বিতীয়বার হাজিরার তারিখেও অনুপস্থিত থাকেন। আদালত পরে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নির্দেশ দিলেও তাতে সাড়া না দিলে অবশেষে রায়ে পৌঁছায় আদালত।
রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী: অ্যাডভোকেট আমির হোসেন (শেখ হাসিনা ও শাকিলের পক্ষে)
প্রসিকিউশন: চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর তানভীর জোহা
অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু): জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামান
বিশ্লেষকরা বলছেন, যেহেতু আসামিপক্ষ কোনো আনুষ্ঠানিক আইনি প্রতিরক্ষা উপস্থাপন করেনি, তাই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন বা মৌলিক অধিকারের ভিত্তিতে আপিল করার সুযোগ রয়েছে।
রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেনের মন্তব্যে সেই পরবর্তী আইনি লড়াইয়ের ইঙ্গিতও পাওয়া যাচ্ছে।
এই প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশি আদালতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করা হলো। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি আত্মগোপনে ছিলেন এবং সরকারের পতনের পর ফেরেননি। তাই এটি দেশের রাজনীতিতে একটি নজিরবিহীন ঘটনা।
#আন্তর্জাতিকঅপরাধট্রাইব্যুনাল #শেখহাসিনা #আদালতঅবমাননা #রায়২০২৫ #রাজনীতি #গণঅভ্যুত্থান