ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২১ জুন ২০২৫
আপডেট : ২১ জুন ২০২৫
শুক্রবার (২১ জুন) সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগের ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে নতুন করে ১৫১ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, নতুন রোগীদের মধ্যে—
বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে): ৮৬ জন
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন: ১৮ জন
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন: ১০ জন
চট্টগ্রাম বিভাগ: ১৫ জন
ঢাকা বিভাগ (সিটির বাইরে): ১৭ জন
খুলনা বিভাগ: ৩ জন
রাজশাহী বিভাগ: ২ জন
পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ২০২৫ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ অকালেই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। সাধারণত জুলাই-আগস্টে সংক্রমণ তীব্র হলেও এবার জুনের শুরুতেই পরিস্থিতি খারাপ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবারের ডেঙ্গুর বিস্তারে প্রধান কারণ মশক নিধন কার্যক্রমে ঘাটতি এবং হটস্পট ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা।
বরিশাল ও বরগুনার হাসপাতালগুলোতে শয্যা সংকট, স্যালাইন ও ওষুধের ঘাটতি এবং প্লাটিলেটের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। রোগীর চাপে চিকিৎসা ব্যবস্থাও হিমশিম খাচ্ছে।
অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন:
“ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে একক সংস্থার পক্ষে সম্ভব না। জাতীয় কর্মসূচির প্রয়োজন।”
কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাশার বলেন:
“ডেঙ্গু হটস্পট চিহ্নিত করে ২০০ মিটার পর্যন্ত এলাকাজুড়ে মশক নিধনে ফগিং করতে হবে। ব্রিডিং সোর্স (প্রজননস্থল) ম্যানেজমেন্ট বাধ্যতামূলক করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “নগরবাসীকে সচেতন হতে হবে এবং মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে হবে। প্রয়োজনে করপোরেশন থেকে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে।”
বছর | আক্রান্ত | মৃত্যু |
---|---|---|
২০২৩ | ৩,২১,১৭৯ | ১,৭০৫ |
২০২৪ | ১,০১,২১৪ | ৫৭৫ |
২০২৫ (এখন পর্যন্ত) | ৭,০৭৭ | — |
ডেঙ্গু
, বরিশাল
, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
, মশক নিধন
, স্বাস্থ্য সংকট
, বাংলাদেশ
, হাসপাতাল
, ডেঙ্গু হটস্পট
, ব্রিডিং সোর্স