ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৫
আপডেট : ২০ জুন ২০২৫
বিশ্ব হাইড্রোগ্রাফি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে শুক্রবার (২০ জুন) তিনি এক বাণীতে এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দেশের সমুদ্রসীমার একটি পরিপূর্ণ ও নির্ভুল হাইড্রোগ্রাফিক তথ্যভাণ্ডার গড়ে তুলতে আরও বেশি পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে হাইড্রোগ্রাফিক পেশাজীবীদের। এভাবে সমুদ্র তলদেশের মানচিত্রায়ন করে একটি কার্যকর ও টেকসই সমুদ্রনীতি তৈরি করা সম্ভব হবে যা বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত্তিকে আরও মজবুত করবে।
এই বছরের দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘সিবেড ম্যাপিং: এনাবলিং ওশান অ্যাকশন’, যার মাধ্যমে গভীর সমুদ্রের তলদেশের মানচিত্রায়নের প্রয়োজনীয়তাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের মতে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।
তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দেশকে একটি উৎপাদনমুখী ও আঞ্চলিক অর্থনৈতিক কেন্দ্রে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এই লক্ষ্যে সমুদ্র সম্পদকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে বিশদ ও নির্ভুল হাইড্রোগ্রাফিক তথ্য ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই।
প্রধান উপদেষ্টা আরও জানান, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল ও সমুদ্রসীমার হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ, চার্ট প্রস্তুতি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের দায়িত্ব বাংলাদেশ নৌবাহিনীর হাইড্রোগ্রাফিক বিভাগ পালন করছে, যা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে চলছে।
জাতিসংঘের সমুদ্র আইন অনুসারে মহীসোপান অঞ্চলের সঠিক নির্ধারণ ও সুনীল অর্থনীতি বিকাশে হাইড্রোগ্রাফিক বিভাগের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আশা প্রকাশ করেন, সামরিক ও নৌ নিরাপত্তার পাশাপাশি হাইড্রোগ্রাফি বিভাগ সমুদ্র বন্দরের উন্নয়ন, মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ, তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান এবং উপকূলীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আরো সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।