ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৫
আপডেট : ২৬ জুন ২০২৫
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস’-এর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, “মাদকের অবৈধ পাচার ও অপব্যবহারের ফলে জনস্বাস্থ্য, আইনশৃঙ্খলা ও অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়েছে। উন্নয়নের প্রধান চালিকা শক্তি—কর্মক্ষম ও প্রযুক্তিশিক্ষায় দক্ষ যুবসমাজ—মাদকমুক্ত না হলে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়া অসম্ভব।”
তিনি বলেন, “মাদক পাচারে নারী, শিশু ও কিশোরদের ব্যবহার করা হচ্ছে, ফলে তারা অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে।” এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষা, মহিলা ও শিশুবিষয়ক, এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বিশ্বে নতুন সিনথেটিক ও সেমি-সিনথেটিক ড্রাগস আসার ফলে মাদকের বিস্তার আরও জটিল হয়েছে। এসব মোকাবিলায়:
নতুন মাদক আইনের তফসিলভুক্ত করা হচ্ছে
কৌশলগত নজরদারি বাড়ানো হয়েছে
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা সজাগ রয়েছে
বর্তমানে ১৮ কোটি মানুষের দেশে মাদক নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত মাত্র ২,৯৪৩ জন, যার মধ্যে এনফোর্সমেন্টে ১,৬২২ জন। অধিদপ্তর পরিচালিত হচ্ছে:
৬৪টি জেলা কার্যালয়
৮টি বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়
৮টি বিভাগীয় কার্যালয়
১টি বিশেষ জোন দিয়ে
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক প্রতিরোধ কমে যাচ্ছে। সবাইকে সচেতন হতে হবে।”
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি বলেন—
“বাংলাদেশে মাদক তৈরি হয় না, কিন্তু বাইরের দেশ থেকে ঢুকছে। ৩২টি সীমান্ত জেলা মাদক চোরাচালানের ঝুঁকিতে। জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া এটা রোধ করা যাবে না।”
তিনি জানান, সরকার প্রতিটি বিভাগীয় শহরে ২০০ শয্যার মাদক নিরাময় কেন্দ্র নির্মাণ করবে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হাসান মারুফ।
#মাদকবিরোধী_দিবস #DrugAbuse #BangladeshYouth #মাদক_প্রতিরোধ #স্বরাষ্ট্রউপদেষ্টা #মাদক_চোরাচালান #SyntheticDrugs