ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৫
আপডেট : ২৯ মে ২০২৫
তিনি বলেন, “আমরা ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছি। আমার বিশ্বাস, এশিয়ার দেশগুলো একত্রে কাজ করলে অভিন্ন চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করা সহজ হবে এবং উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।”
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকালে সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ড. ইউনূস বলেন, “আমাদের একটি অভিন্ন ভবিষ্যৎ এবং অভিন্ন সমৃদ্ধির দিকে একটি স্পষ্ট পথ তৈরি করতে হবে। এই লক্ষ্যে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”
তিনি তাঁর বক্তব্যে সহযোগিতার ভিত্তিতে উন্নয়নের সাতটি পরামর্শ উপস্থাপন করেন, যার মধ্যে রয়েছে:
এশিয়ার অভ্যন্তরীণ বৈচিত্র্যকে শক্তিতে রূপান্তর
অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সমন্বয়
পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সম্মিলিত পদক্ষেপ
যুবসমাজের জন্য টেকসই কর্মসংস্থান সৃষ্টি
সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন
শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য আন্তঃদেশীয় সংলাপ
উদ্ভাবনী শিক্ষার প্রসার
ড. ইউনূস বলেন, “এশিয়ার অর্থনীতি, সংস্কৃতি এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থার বৈচিত্র্যই এই অঞ্চলের আসল শক্তি। কিন্তু একইসঙ্গে এটি আমাদের জন্য একটি পরীক্ষা, যেখানে সাফল্যের চাবিকাঠি হচ্ছে সহযোগিতা।”
তিনি আরও বলেন, “যদি আমরা আমাদের পারস্পরিক নির্ভরতাকে সহযোগিতায় রূপান্তর করতে পারি, তাহলে এই অঞ্চল হবে আগামী শতকের উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু।”
ড. ইউনূস সম্মেলনে যোগ দিতে বুধবার (২৮ মে) স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৫ মিনিটে টোকিও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানান জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী ও দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
চারদিনব্যাপী এই সফরের অংশ হিসেবে তিনি বিভিন্ন সেশন, বৈঠক এবং উচ্চপর্যায়ের আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। সফর শেষে আগামী ৩১ মে তাঁর বাংলাদেশে ফেরার কথা রয়েছে।
নিক্কেই গ্রুপ আয়োজিত ‘নিক্কেই ফোরাম: এশিয়ার ভবিষ্যৎ’ সম্মেলনটি এশিয়ার সবচেয়ে প্রভাবশালী অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক আলোচনার মঞ্চ। ৩০তম এই আয়োজনেও বিশ্বনেতা, ব্যবসায়ী, নীতিনির্ধারক ও গবেষকরা উপস্থিত রয়েছেন, যারা এশিয়ার ভবিষ্যৎ পথনকশা প্রণয়নে মতবিনিময় করছেন।