ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২৫
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক দীর্ঘ পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।
গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে এনসিপির 'জুলাই পদযাত্রা'কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, গুলি, ককটেল বিস্ফোরণ, অগ্নিসংযোগসহ একাধিক সহিংস ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হন অন্তত ৪ জন, আহত হন অনেকে। এনসিপি দাবি করেছে, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে "মুজিববাদী সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিত সশস্ত্র হামলা" চালিয়েছে।
🔹 গোপালগঞ্জ শহীদ বাবু মোল্লা ও শহীদ রথীন বিশ্বাসের জায়গা, একে ‘মুজিববাদীদের হতে দেওয়া হবে না।’
🔹 আওয়ামী লীগকে ‘সন্ত্রাসবাদী সংগঠন’ আখ্যা দিয়ে বলেন, “বাংলাদেশের এক ইঞ্চি মাটিও মুজিববাদীদের হবে না”।
🔹 পদযাত্রা নয়, শুধু শান্তিপূর্ণ পথসভা হয়েছে বলে দাবি করেন।
🔹 পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এমন চারজনের কথা জানান, কিন্তু “বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড” প্রত্যাখ্যান করেন।
🔹 “প্রশাসনের ব্যর্থতায়” এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে সরকারকে দায়ী করেন।
🔹 বলেন, “ফ্যাসিবাদের দোসর” প্রশাসনের ভেতর ঘাপটি মেরে আছে, যারা দুর্নীতিগ্রস্ত ও পক্ষপাতদুষ্ট।
🔹 দাবী করেন, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ সংগঠন, এবং গোপালগঞ্জে তারা উপস্থিত ছিল।
🔹 সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে সন্ত্রাসীদের বিচার দাবি করেন।
নাহিদ ইসলামের এই বক্তব্য এমন এক সময় এলো, যখন গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত চলছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও আইন উপদেষ্টা এরই মধ্যে আশ্বাস দিয়েছেন যে দোষীদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, এবং সুষ্ঠু তদন্ত চলবে।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন,
“এ ধরনের বক্তব্য, বিশেষ করে মুজিববাদবিরোধী স্লোগান ও আক্রমণাত্মক ভাষা, রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারে।”
সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত কিছু ভিডিও (যেমন: “পুলিশের গুলিতে মৃত্যু” সংক্রান্ত) পুরনো ও ভিন্ন ঘটনার বলে ফ্যাক্টচেকারে প্রমাণিত হয়েছে।
“গোপালগঞ্জের প্রতিটি ঘরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পতাকা উড়বে।”
“আমরা শহীদের রক্তের শপথ নিয়ে ঘোষণা করছি—মুজিববাদকে গোপালগঞ্জ ও বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়াতে দেবো না।”
“আমরা যুদ্ধ করতে যাইনি, পথসভা করেছি। সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে মুজিববাদী সন্ত্রাসীরা।”
🔹 প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত চলছে।
🔹 এ ধরনের উত্তেজক বক্তব্যের ওপর নজর রাখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
🔹 গোপালগঞ্জ সহিংসতা নিয়ে সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক ও আইনগত প্রতিক্রিয়া আসার অপেক্ষা করছে রাজনৈতিক মহল।