ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২৫
আপডেট : ০৫ জুন ২০২৫
বর্তমান বিনিময় হারে (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা) এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৭ হাজার ৪২৯ কোটি টাকার বেশি, যা দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের স্বস্তির বার্তা নিয়ে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যমতে, জুন মাসের শুরুতেই এই বিশাল অঙ্কের প্রবাসী আয় অর্থবাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে এবং ঈদ কেন্দ্রিক বাজারকে করেছে আরও চাঙা ও সচল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে সাধারণত কুরবানির পশু কেনা, পোশাক-পরিচ্ছদ ও উপহারসহ বিভিন্ন পারিবারিক খরচ মেটাতে প্রবাসীরা বেশি অর্থ পাঠান। ফলে প্রতি বছর ঈদের সময় রেমিট্যান্সে গতি আসে, এবং এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
শুধু জুন মাস নয়, এর আগেও মে মাসে এসেছে বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স—মোট ২৯৭ কোটি ডলার (প্রায় ৩৬ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা)। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে টানা মাসগুলোতে দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আসছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) রেমিট্যান্স এসেছে ২৭৫০ কোটি ৭০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই পরিমাণ ছিল ২১৩৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার। অর্থাৎ ৬১৩ কোটি ৩০ লাখ ডলারের প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে, যা ৬.১৩ বিলিয়ন ডলার বেশি।
বিশ্বজুড়ে বৈশ্বিক মন্দা, মূল্যস্ফীতি ও বৈদেশিক ঋণের চাপে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যখন নানা সংকেত দেখা যাচ্ছিল, তখন প্রবাসীদের পাঠানো এই রেমিট্যান্স অর্থনীতিকে শ্বাস ফেলার সুযোগ দিচ্ছে। বিশেষ করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে এই অর্থ বড় অবদান রাখছে।
বিশ্লেষকদের মতে, প্রবাসী আয়ের এমন ঊর্ধ্বগতি রপ্তানি আয় ও বৈদেশিক বিনিয়োগের পাশাপাশি বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা হিসেবে কাজ করছে।