ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ১৮ জুন ২০২৫
আপডেট : ১৮ জুন ২০২৫
দেশ থেকে কয়েক লাখ কোটি টাকা পাচারের মূল কারণ দুর্বল ও অকার্যকর নিরীক্ষা ব্যবস্থা—এমন অভিযোগ তুলেছে ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)। সংস্থাটির মতে, যথাযথ নিরীক্ষা ব্যবস্থাপনা থাকলে অর্থ পাচার ও খেলাপি ঋণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হতো।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আইসিএমএবির সভাপতি মাহতাব উদ্দিন আহমেদ।
সংবাদ সম্মেলনে মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন,
“ভালো অডিট ব্যবস্থা থাকলে বাংলাদেশ থেকে ১৭ বিলিয়ন ডলার পাচার হতো না। দুর্বল নিরীক্ষা ব্যবস্থার সুযোগেই ব্যাংক ও পুঁজিবাজার থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া সহজ হয়েছে। সঠিক অডিট রিপোর্ট না পাওয়ায় দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমেছে।”
তিনি আরও বলেন,
“যথাযথ নিরীক্ষা ব্যবস্থা থাকলে দেশের খেলাপি ঋণ কখনোই ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেত না। অথচ ব্যাংকগুলোতে এই অর্থ খেলাপি হয়েছে এবং নিরীক্ষকরা দায় এড়াতে পারেন না।”
আইসিএমএবি জানায়, বাংলাদেশে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট (সিএ) রয়েছেন মাত্র ২ হাজার ৫ জন, যেখানে:
নেপালে: প্রায় ৯ হাজার
পাকিস্তানে: ১০ হাজারের বেশি
এই ঘাটতি পূরণে সিএমএ পেশাজীবীদের নিরীক্ষা করার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আইসিএমএবি চায়, যেসব কোম্পানি আইন অনুযায়ী নিরীক্ষার আওতায় থাকলেও সিএ প্রতিষ্ঠান দ্বারা নিরীক্ষা হয় না—সেসব প্রতিষ্ঠানে সিএমএ পেশাজীবীদের অডিট করার অধিকার দিতে হবে। এ লক্ষ্যে তারা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ও ফাইনান্স অর্ডিন্যান্সে এই বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন:
মোহাম্মদ সেলিম, সাবেক প্রেসিডেন্ট
মো. দেলোয়ার হোসেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট
মো. কাউসার আলম, ভাইস প্রেসিডেন্ট
হাসনাইন তৌফিক আহমেদ, সেক্রেটারি
মো. আখতারুজ্জামান ও জাহাঙ্গীর আলম, কাউন্সিল সদস্য
#ICMAB #AuditSystem #অর্থপাচার #BankingSector #খেলাপিঋণ #পুঁজিবাজার #নিরীক্ষা #CMA #CharteredAccountants #বাংলাদেশঅর্থনীতি