ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৫
আপডেট : ২২ জুন ২০২৫
তিনি বলেন, “কোনো দ্বিধা বা বিলম্ব নয়—আমরা বাহরাইনে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাব এবং হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেব। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জার্মানি ও ফ্রান্সের জাহাজগুলো আর চলাচল করতে পারবে না।”
বিশ্ব জ্বালানি সরবরাহের অন্যতম প্রধান পথ হরমুজ প্রণালি। ইরান যদি এ পথ বন্ধ করে দেয়, তাহলে তেল সরবরাহের ঘাটতি এবং বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধি অনিবার্য বলে সতর্ক করেছে জ্বালানি বিশ্লেষকরা।
এটি বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উত্তেজনা আরও ঘনীভূত করতে পারে। ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১২ ডলার বেড়েছে।
শনিবার (২১ জুন) রাতে ওয়াশিংটন সময় রাত ১০টায় দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প বলেন,
“ইসরায়েলের জন্য হুমকি সরাতে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। হয় শান্তি, না হয় এক ভয়াবহ পরিণতি। আজকের হামলা ছিল কেবল শুরু।”
তিনি আরও বলেন,
“ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা ধ্বংস করাই ছিল আমাদের উদ্দেশ্য। দ্রুত শান্তি না এলে পরবর্তী ধাপে আরও বড় এবং নিখুঁত হামলা হবে।”
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে তার আগের একটি বিবৃতি শেয়ার করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়:
“যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়ায়, তবে তারা যে ক্ষতির মুখে পড়বে, তা ইরানের ক্ষতির চেয়ে বহুগুণ বেশি হবে।”
বিশ্লেষকদের মতে,
বাহরাইন ও হরমুজ প্রণালির পরিস্থিতি অত্যন্ত স্পর্শকাতর
যুক্তরাষ্ট্রের ৫ম নৌবহর বাহরাইনের মানামায় অবস্থান করছে
হরমুজ প্রণালি বন্ধ হলে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ চেইনে বিপর্যয় দেখা দেবে
জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এই পরিস্থিতিকে “অত্যন্ত বিপজ্জনক” হিসেবে আখ্যা দিচ্ছে এবং দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
#IranUSConflict #HormuzStrait #TrumpVsIran #IranNuclearCrisis #MiddleEastTensions