ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৫
আপডেট : ০৩ জুন ২০২৫
তিনি দাবি করেছেন, এতে ভারতের কোনো ক্ষতি হবে না; বরং আসাম বন্যার হাত থেকে মুক্তি পাবে।
ব্রহ্মপুত্রের পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ একাধিক উৎস থেকে:
ব্রহ্মপুত্রের মোট পানির মাত্র ৩০-৩৫ শতাংশ আসে চীন থেকে। বাকি ৬৫-৭০ শতাংশ পানি আসে অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়ের প্রবাহিত নদী ও ভারী বর্ষার কারণে।
বন্যার হাত থেকে মুক্তি:
চীন যদি পানি প্রবাহ কমায়, তবে বার্ষিক বন্যার হাত থেকে আসাম মুক্তি পাবে। এতে জনজীবন ও সম্পত্তির ক্ষতি রোধ করা যাবে।
ভারতে ব্রহ্মপুত্র ফুলে ফেঁপে ওঠে:
এই নদী মূলত ভারতে বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভরশীল। তাই চীনের পানিপ্রবাহ বন্ধ করলে ভারতের সমস্যা হবে না।
পাকিস্তানের ‘জুজু’র বিরুদ্ধে তথ্যভিত্তিক জবাব:
পাকিস্তানের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত রাখার ও চীনের হুমকির প্রেক্ষিতে হিমন্ত বলেন, এই গুজব ছড়ানো হচ্ছে। চীনের এমন কোনো সরকারি ঘোষণা নেই এবং পানি প্রবাহ কমালে ভারতের উপকারই হবে।
প্রবাহের পরিমাণ:
টিউটিং সীমান্ত এলাকায় প্রতি সেকেন্ডে ২-৩ হাজার কিউবিক মিটার পানি প্রবাহিত হয়, যা গুয়াহাটিতে বেড়ে ১৫-২০ হাজার কিউবিক মিটার পর্যন্ত যায়।
পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার পর চীনের ব্রহ্মপুত্রের পানি প্রবাহ কমিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। তবে আসামের মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, চীনের এই হুমকি ভিত্তিহীন এবং ভারতের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।
#ব্রহ্মপুত্র #হিমন্তবিশ্বশর্মা #চীন #ভারত #পানি_সম্পদ #আসাম #সিন্ধুপানি_চুক্তি #ভারত_চীন_সম্পর্ক