ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২৫
আপডেট : ০৪ জুন ২০২৫
নির্বাচনে জয়লাভের পর এক বিজয় ভাষণে লি বলেন, “আমার সরকার অর্থনীতির পুনরুদ্ধার এবং কোরীয় উপদ্বীপে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে।” তিনি সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
বিশ্লেষকদের মতে, এই নির্বাচন কার্যত একটি গণভোটে পরিণত হয়েছিল, যা সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সক ইয়ল-এর সামরিক অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিক্রিয়ার বহিঃপ্রকাশ। জনগণ ইউন-এর দলকে প্রত্যাখ্যান করে বিরোধীদের ক্ষমতায় এনেছে।
লি জে-মিয়ং-এর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বিতর্কে ঘেরা। আগের নির্বাচনগুলোতে পরাজয়ের পাশাপাশি একাধিক ফৌজদারি মামলার মুখোমুখিও হয়েছেন তিনি। তবে এবারের নির্বাচনী প্রচারে তিনি মতাদর্শের সীমা অতিক্রম করে জনগণের নানা শ্রেণিকে একত্রিত করতে সক্ষম হন।
আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ:
নতুন প্রেসিডেন্ট লি-র সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন এবং চীনের সঙ্গে ভারস্যমূলক কূটনীতি। বিশেষত, যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ায় সেনা উপস্থিতি সীমিত করতে চায় বলে গুঞ্জন রয়েছে, যা উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকির প্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
লি অতীতে কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র জোট নিয়ে সংশয় প্রকাশ করলেও নির্বাচনী প্রচারে কিছুটা নমনীয় ছিলেন। একইসঙ্গে তিনি চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সম্পর্ক জোরদারের পক্ষে রয়েছেন, যা ওয়াশিংটনের সঙ্গে তার সরকারের সম্পর্ককে জটিল করে তুলতে পারে।
ট্রাম্প-মাস্ক দ্বন্দ্ব:
এই সময়েই আরেক আলোচিত ঘটনায় মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক প্রকাশ্যে ট্রাম্পের বাজেট ও কর বিলকে ‘জঘন্য’ বলে সমালোচনা করেছেন। তিনি এক্স (সাবেক টুইটার)–এ পোস্ট দিয়ে বলেন, “যাঁরা এ বিলে ভোট দিয়েছেন, তাঁদের ধিক্কার জানাই।” এতে রিপাবলিকানদের ভেতরে মতবিরোধ বাড়ছে।
মাস্কের সমালোচনার প্রেক্ষিতে হোয়াইট হাউস জানায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই বিলকে ‘দারুণ’ হিসেবে বিবেচনা করছেন এবং এতে অনড় আছেন। তবে রাজনৈতিক অঙ্গনে মাস্কের এমন স্পষ্ট অবস্থান আগামী নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে।
ট্যাগসমূহ:
#দক্ষিণ_কোরিয়া #লি_জে_মিয়ং #প্রেসিডেন্ট_নির্বাচন #সামরিক_শাসন #ট্রাম্প #ইলন_মাস্ক #আন্তর্জাতিক_রাজনীতি #যুক্তরাষ্ট্র_চীন #রিপাবলিকান #এশিয়া_রাজনীতি #বিশ্বসংবাদ