ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৫
আপডেট : ১৬ জুন ২০২৫
সোমবার (১৬ জুন) ইসরায়েল তেহরানের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। আল-জাজিরা ও ফার্স নিউজের তথ্য অনুযায়ী, তেহরানের পশ্চিমে একটি সামরিক ঘাঁটি ও পূর্বাঞ্চলের কিছু এলাকায় বড় ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) তেহরানের তৃতীয় জেলাকে লক্ষ করে অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়ে স্থানীয়দের সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এক্স (সাবেক টুইটার)–এ পোস্ট করা মানচিত্রে এ এলাকা চিহ্নিত করে বলা হয়েছে:
“এই এলাকায় অবস্থান করা মানে জীবনের ঝুঁকি গ্রহণ করা।”
সোমবার বিকেলে ইসরায়েল তেহরানে অবস্থিত ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার কেন্দ্র (IRIB)-এ বিমান হামলা চালায়।
এই হামলায়:
সম্প্রচারে কিছুক্ষণ বিভ্রাট ঘটে,
ভবনের একাংশে আগুন লেগে যায়,
অভ্যন্তরে কতজন হতাহত হয়েছেন, তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
🔊 IRINN কর্তৃপক্ষ বলছে,
“ইসরায়েল সত্যের কণ্ঠস্বর থামিয়ে দিতে চায়।”
এর আগে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেছিলেন,
“ইরানের প্রচারণা ও উসকানির মেগাফোন অদৃশ্য হয়ে যাবে।”
তেহরানের বিভিন্ন রাস্তা ও এক্সপ্রেসওয়েতে তীব্র যানজট,
শহরের বিভিন্ন তেল পাম্পে বিশাল লাইন,
অনেকে দুই-তিন দিন আগেই শহর ত্যাগ করেছেন,
এখন যারা যাচ্ছেন, তারা মূলত ইসরায়েল-ঘোষিত হামলার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে পালাচ্ছেন।
ইরানি কর্তৃপক্ষ জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানালেও, মানুষের মধ্যে ভয় ও বিশৃঙ্খলা বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসরায়েলের এই হামলা শুধু প্রতীকী নয়, বরং সাংবাদিকতা ও তথ্যপ্রবাহকে লক্ষ করে সরাসরি হামলার দৃষ্টান্ত। এটি যুদ্ধের গতি আরও বেপরোয়া ও বহুমুখী করে তুলছে।
ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে যে:
“ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা একটি পূর্ণাঙ্গ আঞ্চলিক যুদ্ধে পরিণত হতে পারে।”
ইসরায়েল গত শুক্রবার ইরানে প্রথমবার সরাসরি হামলা চালায়,
ইরান জবাবে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়,
এর পর থেকেই উভয় দেশ হামলা-পাল্টা হামলায় জড়িয়েছে,
আজকের হামলা ছিল তেহরানের ভেতরে সবচেয়ে বড় সরাসরি আক্রমণ।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাৎজ এক বিবৃতিতে বলেছেন,
“ইরানের শাসকরা যেখানে লুকিয়ে থাকুক, তাদের টার্গেট করা হবে। আমরা তেহরানেও থামবো না।”
ইরানের রাজধানী এখন একটি যুদ্ধকালীন শহর—মানুষ দলে দলে শহর ছাড়ছে, সরকারি ভবন টার্গেট হচ্ছে, গণমাধ্যম অবরুদ্ধ।
ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা নতুন মাত্রায় প্রবেশ করেছে, যার ফলাফল হতে পারে একটি পূর্ণাঙ্গ ও অপ্রতিরোধ্য যুদ্ধ।