ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ মে ২০২৫
আপডেট : ২৭ মে ২০২৫
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, চলমান সংঘাতে নিহতের সংখ্যা এরইমধ্যে ৫৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার রাত থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত ইসরাইল যে সকল হামলা চালিয়েছে, তার বেশিরভাগই লক্ষ্যবস্তু ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের অস্থায়ী ঘাঁটি ও আশ্রয়কেন্দ্র। ইসরাইল অবশ্য দাবি করেছে, তারা হামাস এবং ইসলামিক জিহাদ সংগঠনের কমান্ড সেন্টার ও অস্ত্র মজুদের স্থানেই হামলা চালাচ্ছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) জানায়, গত ৪৮ ঘণ্টায় গাজাজুড়ে তারা অন্তত ২০০ ‘সশস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে’ হামলা চালিয়েছে। তবে বেসামরিক হতাহতের জন্য তারা দায়ী করেছে হামাসকে। তাদের ভাষায়, হামাস বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। এ কারণে নিরস্ত্র মানুষের মৃত্যুর দায় তাদের নয়।
গাজায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ফ্রান্সেসকা আলবানিজ এক হৃদয়বিদারক ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা যায়, ফাহমি আল-জারজাবি স্কুলে ইসরাইলি হামলায় আগুন ধরে গেলে জীবন্ত পুড়ে মারা যায় একটি শিশু। ভিডিওটি এরই মধ্যে ৪ লক্ষাধিক বার দেখা হয়েছে।
ভিডিওর ক্যাপশনে আলবানিজ লেখেন, “আমি এই আগুন দেখতে পারছি না। বারবার দেখার চেষ্টা করলেও মাথা ঘুরছে, পেট মোচড়াচ্ছে। ফিলিস্তিনিরা যেন আমাদের ক্ষমা করে।”
মঙ্গলবারও হামলা অব্যাহত রয়েছে। আল-জাজিরা জানিয়েছে, গাজা সিটির আল-কারামা এলাকায় চালানো হামলায় নিহত হয়েছে আরও এক শিশু। এখনও বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে আছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।
গাজায় ক্রমাগত বাড়তে থাকা এই ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের পরও আন্তর্জাতিক মহলের কার্যকর উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। মানবাধিকার সংস্থাগুলো গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং বেসামরিক মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানালেও বাস্তবে তা বাস্তবায়নের কোনো লক্ষণ নেই।
সূত্র: আল-জাজিরা, বিবিসি