ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ মে ২০২৫
আপডেট : ২৭ মে ২০২৫
তিনি বলেন, ট্রাম্পের পক্ষ থেকে এই বার্তাটি সরাসরি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরায়েল সফর শেষে নোয়েম বলেন, “আমাদের কৌশলগত ঐক্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রেসিডেন্ট চান, ইরানকে প্রতিরোধে আমরা যেন দ্বিধাহীনভাবে একসঙ্গে কাজ করি।”
এই মন্তব্য এমন সময়ে এলো, যখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে রোমে পঞ্চম দফা পারমাণবিক আলোচনা শেষ হয়েছে। যদিও ট্রাম্প এ আলোচনাকে “ইতিবাচক অগ্রগতি” হিসেবে দেখছেন, তবুও নেতানিয়াহুর সরকার বরাবরই এসব আলোচনার বিরোধী।
রবিবার সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন,
“ইরানের সঙ্গে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। আগামী দুই দিনে কী হবে বলা মুশকিল, তবে আমার মনে হচ্ছে, ভালো কিছুই হবে।”
CNN-এর একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়, কূটনৈতিক আলোচনার পাশাপাশি ইসরায়েল গোপনে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে কোনো পক্ষই সরাসরি স্বীকারোক্তি দেয়নি।
ইরান পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে,
“ইসরায়েল হামলা চালালে তার কঠোর জবাব দেওয়া হবে।”
নোয়েম বলেন,
“আমাদের এমন একজন প্রেসিডেন্ট আছেন, যিনি শান্তি চান, কিন্তু একই সঙ্গে নিশ্চিত করতে চান, ইরান যেন কোনোভাবেই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন না করে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই বিষয়ে আপসহীন।”
ইসরায়েল বহুদিন ধরেই দাবি করে আসছে, ইরান তাদের অস্তিত্বের জন্য প্রত্যক্ষ হুমকি।
নেতানিয়াহু বারবার বলেছেন, ইরান শিগগিরই পারমাণবিক বোমা তৈরি করবে।
ইরান হিজবুল্লাহ ও হামাস-সহ একাধিক সশস্ত্র গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে থাকে, যা ইসরায়েলের জন্য উদ্বেগজনক।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসন একদিকে যেমন কূটনৈতিক আলোচনার পথ খোলা রাখছে, অন্যদিকে ইসরায়েলের কড়া অবস্থানের প্রতি সহানুভূতিশীল মনোভাব বজায় রাখছে।
সূত্র: Fox News, CNN, ফেডারেল ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিবৃতি