ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৫
আপডেট : ২৯ মে ২০২৫
তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করে কড়া ভাষায় সতর্ক করেছেন, যাতে ইসরায়েল কোনো সামরিক অভিযান চালিয়ে চলমান পরমাণু আলোচনাকে বিঘ্নিত না করে।
ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প ইসরায়েলি নেতানিয়াহুকে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, এখন ইরানে হামলা চালানো যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে নয়। কারণ, মার্কিন প্রশাসন ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার একটি নতুন পারমাণবিক চুক্তি স্থাপনের সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না। ওমান ও ইতালিতে ইতোমধ্যে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েক দফায় আশাব্যঞ্জক আলোচনা হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের এক সূত্র জানিয়েছে, গত সপ্তাহে ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে ফোন করে সতর্ক করেছেন যেন ইসরায়েল এমন কোনো পদক্ষেপ না নেয় যা পরমাণু আলোচনার সম্ভাবনাকে ধ্বংস করে। কারণ, গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর বোমা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা চলমান কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় বড় ধাক্কা দিতে পারে।
ট্রাম্প বলেন, তিনি চান কূটনৈতিক সমাধান আগে চেষ্টা করা হোক। তবে আলোচনা ভেঙে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের ‘বিকল্প ব্যবস্থা’ রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপও নিতে পারে।
২০১৫ সালের ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তিতে ইরান তার পারমাণবিক কর্মকাণ্ডে সীমাবদ্ধতা আনলেও, ২০১৮ সালে ট্রাম্প একতরফাভাবে চুক্তি থেকে সরে যাওয়ায় সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠেছে। নতুন কোনো চুক্তিতে ইরানকে সম্পূর্ণ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করতে হবে বলে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে আসছে। কিন্তু তেহরান বলছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি শুধুমাত্র শান্তিপূর্ণ এবং বেসামরিক উদ্দেশ্যে, এবং ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের অধিকার তাদের জাতীয় সার্বভৌমত্বের অংশ।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে পাঁচ দফায় পরোক্ষ আলোচনা চলছে এবং গত শুক্রবার ইতালির রোমে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কিছু অগ্রগতি দেখা গেছে। ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেছেন চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে এই নিয়ে বড় ধরনের সুসংবাদ আসতে পারে।