ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৫
আপডেট : ২৯ মে ২০২৫
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের সঙ্গে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সমঝোতায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাশিয়া।
২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর এটিই হবে দ্বিতীয়বারের মতো রাশিয়া-ইউক্রেনের সরাসরি আলোচনা। চলতি মাসের শুরুতেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের কূটনৈতিক চাপে প্রথমবারের মতো ইস্তাম্বুলে বৈঠকে বসেছিল দুই দেশের প্রতিনিধিরা। যদিও ১৬ মার্চের সেই বৈঠক থেকে প্রত্যাশিত যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসেনি, কেবল যুদ্ধবন্দি বিনিময়ের বিষয়ে সম্মত হয়েছিল দুই পক্ষ।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ বলেন,
“শুধু কথার জন্য নয়, আমরা আন্তরিকভাবেই শান্তির পথে এগোতে চাই। ইস্তাম্বুলে আমরা পরবর্তী রাউন্ডের বৈঠকের জন্য প্রস্তুত।”
তিনি আরও বলেন, যুদ্ধবিরতির আগে রাশিয়ার পক্ষ থেকে কিছু ‘মূল শর্ত’ পূরণ করা জরুরি, যার বিষয়ে ইউক্রেন ও তার পশ্চিমা মিত্রদের অবশ্যই বাস্তবধর্মী দৃষ্টিভঙ্গি দেখাতে হবে।
গত ১৯ মে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর মধ্যে ফোনালাপ হয়। ওই আলোচনার পর পুতিন ঘোষণা দেন, একটি সম্ভাব্য শান্তিচুক্তির খসড়া স্মারকলিপি তৈরিতে রাশিয়া প্রস্তুত। ট্রাম্পের সক্রিয় মধ্যস্থতায় আলোচনা এগোতে শুরু করেছে বলে অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন।
রাশিয়ার আলোচক দলের প্রধান ভ্লাদিমির মেদিনস্কি জানিয়েছেন, তিনি ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তম উমেরভ-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং পরবর্তী বৈঠকের সময় ও স্থান নির্ধারণে রাশিয়ার প্রস্তাব তুলে ধরেছেন।
📌 বিষয়টির গুরুত্ব কেন?
দীর্ঘ ৩ বছরের যুদ্ধের পর দ্বিতীয় দফা মুখোমুখি আলোচনার সুযোগ
যুদ্ধবিরতি ও সম্ভাব্য শান্তিচুক্তির দ্বার খুলতে পারে
আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে ট্রাম্পের সক্রিয় ভূমিকার ইঙ্গিত
বন্দি বিনিময়ের সফলতা পারস্পরিক আস্থার সূচনা হতে পারে