ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২৫
আপডেট : ০৪ জুন ২০২৫
সাবেক সরকারি দায়িত্ব থেকে পদত্যাগের পর এটিই ট্রাম্পবিরোধী তাঁর প্রথম প্রকাশ্য মন্তব্য। এই মন্তব্য ঘিরে দুজনের রাজনৈতিক সম্পর্ক আরও শীতল হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এক্স (সাবেক টুইটার)-এ একাধিক পোস্টে মাস্ক বলেছেন, ট্রাম্পের বাজেট পরিকল্পনা মার্কিন অর্থনীতির জন্য ‘একটি বিপর্যয়’। তিনি লেখেন,
“যাঁরা এ বিলে ভোট দিয়েছেন, তাঁদের ধিক্কার জানাই।”
এই বিলে বিশাল অঙ্কের করছাড়, প্রতিরক্ষা ব্যয়ের বাড়তি বরাদ্দ এবং সরকারকে অতিরিক্ত ঋণ নেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর ফলে আগামী অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি ৬০ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
ইলন মাস্ক সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের ‘সরকারি দক্ষতা বিভাগ’-এর প্রধান হিসেবে ১২৯ দিনের মাথায় পদত্যাগ করেন। দফতরটির মূল কাজ ছিল সরকারি ব্যয় সংকোচন। ট্রাম্প পরে বলেছিলেন, “মাস্ক সবসময় আমাদের সঙ্গেই থাকবেন।” তবে মাস্কের সাম্প্রতিক মন্তব্য এই অবস্থান থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
মঙ্গলবার এক্সে দেওয়া পোস্টে মাস্ক আরও লেখেন:
“আগামী বছরের নভেম্বরে মার্কিন জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা সবাইকে সরিয়ে দেব।”
তিনি আরও বলেন,
“এই ব্যয় বিল আমাদের জাতীয় ঋণকে ২৫ ট্রিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে।”
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন,
“ইলন মাস্ক কী ভাবছেন, প্রেসিডেন্ট তা জানেন। এই বিল একটি বড় এবং চমৎকার পদক্ষেপ। প্রেসিডেন্ট এর পেছনে অনড় রয়েছেন।”
বিলটি মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে পাস হলেও রিপাবলিকানদের মধ্যেই মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। সিনেটেও এ নিয়ে বিতর্ক চলছে। মাস্ক এর আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ট্রাম্পের প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া যেকোনো রিপাবলিকান প্রার্থীর পক্ষে তিনি নির্বাচনে সহায়তা করবেন।
#ইলন_মাস্ক
#ডোনাল্ড_ট্রাম্প
#কর_বিল
#যুক্তরাষ্ট্র_অর্থনীতি
#বাজেট_ঘাটতি
#এক্স
#রাজনৈতিক_দ্বন্দ্ব
#মার্কিন_নির্বাচন২০২৫