ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৫
আপডেট : ১৬ জুন ২০২৫
সিনেটর কেইনের ভাষায়,
"যুদ্ধ ঘোষণার সাংবিধানিক ক্ষমতা একমাত্র কংগ্রেসের হাতে থাকা উচিত, প্রেসিডেন্টের নয়। ইরানের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে হলে কংগ্রেসের স্পষ্ট অনুমোদন প্রয়োজন।"
এই প্রস্তাবের মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসনের একতরফা সামরিক সিদ্ধান্তের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায় কংগ্রেস। এর আগে ২০২০ সালেও কেইন একই ধরনের প্রস্তাব আনলেও, ট্রাম্পের ভেটো অতিক্রম করতে পারেননি আইনপ্রণেতারা।
গত শুক্রবার ইসরায়েল ইরানে হামলা চালায়, যার লক্ষ্য ছিল পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা।
ইরান পাল্টা জবাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে।
এ পর্যন্ত উভয়পক্ষের বেসামরিক নাগরিক হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
তীব্র উত্তেজনায় বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে উদ্বেগ বাড়ছে যে এটি পূর্ণাঙ্গ আঞ্চলিক যুদ্ধে রূপ নিতে পারে।
ইসরায়েলের হামলাকে "প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষা" বলে অভিহিত করেছেন ট্রাম্প।
তবে যুক্তরাষ্ট্র এই হামলায় জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন।
সাংবাদিকদের বলেন:
"আমি আশা করি একটা সমঝোতা হবে। তবে কখনো কখনো ওদের নিজেদের মধ্যে লড়াই করতেই হয়।"
সিনেটর কেইনের প্রস্তাব মার্কিন আইনে "প্রিভিলেজড বিল" হিসেবে বিবেচিত হবে। এর মানে হলো, সিনেট বাধ্য থাকবে প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনায় বসতে এবং ভোটাভুটির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে।
এর ফলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চাইলে সরাসরি সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারবেন না—তাঁকে কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে।
✅ সংবিধান অনুযায়ী যুদ্ধ ঘোষণার ক্ষমতা কংগ্রেসের হলেও বিগত কয়েক দশকে প্রেসিডেন্টরা ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি’ ইস্যু দেখিয়ে একতরফাভাবে যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন।
✅ ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি জড়ানোর আশঙ্কা তৈরি করেছে।
✅ ট্রাম্প ২০২4 সালের নির্বাচনের মাধ্যমে ফের ক্ষমতায় আসার পর এখনো তার পররাষ্ট্র নীতি আগ্রাসী হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা অনেকের।
“আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যে, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা যুক্তরাষ্ট্রকে আবারও একটি দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলতে পারে।”
সিনেটর কেইনের নতুন বিলের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে আবারও "যুদ্ধ ক্ষমতা বনাম প্রেসিডেন্সি" বিতর্ক সামনে এসেছে। ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার মধ্যে এই প্রস্তাব কংগ্রেসের ভূমিকা ও বৈদেশিক নীতিতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার এক গুরুত্বপূর্ণ চেষ্টা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
🔖 ট্যাগস: #ইরান_ইসরায়েল #ডোনাল্ড_ট্রাম্প #টিম_কেইন #মার্কিন_সিনেট #যুদ্ধক্ষমতা #মধ্যপ্রাচ্য_উত্তেজনা #সংবিধান #যুক্তরাষ্ট্র_বিদেশনীতি