ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ১৮ জুন ২০২৫
আপডেট : ১৮ জুন ২০২৫
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের বরাত দিয়ে বুধবার (১৮ জুন) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান ইতোমধ্যে ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোকে প্রথম ধাপে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করেছে।
দুইজন মার্কিন সামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান তার অল্প, মাঝারি ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও উন্নত ড্রোন প্রযুক্তি দিয়ে সহজেই ইরাক, বাহরাইন, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোতে হামলা চালাতে সক্ষম।
ইরান মনে করে, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথ হামলায় অংশ নেয়, তাহলে সেটি হবে তাদের সার্বভৌমত্বে সরাসরি হস্তক্ষেপ — এবং সেই জবাব তারা শক্তভাবে দেবে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর (পেন্টাগন) জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের ঘাঁটিগুলোতে নতুন করে ৪০ হাজারের বেশি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। একই সঙ্গে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
ইরাক: আল-আসাদ ও ব্যালাদ ঘাঁটি
বাহরাইন: নৌবাহিনী ঘাঁটি
কাতার: আল-উদেইদ বিমানঘাঁটি
সংযুক্ত আরব আমিরাত: আল-দাফরা বিমানঘাঁটি
এই ঘাঁটিগুলোই ইরানের লক্ষ্যবস্তু হিসেবে তালিকাভুক্ত রয়েছে বলে জানা গেছে।
চীন ও রাশিয়া এই সংঘাতে ইরানের প্রতি নীতিগত সমর্থন জানালেও যুদ্ধ পরিস্থিতি এড়াতে কূটনৈতিক সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে।
আরব রাষ্ট্রগুলো, বিশেষ করে কাতার ও জর্ডান, তাদের আকাশসীমা ইসরায়েলি বাহিনীকে ব্যবহার না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের জোট-সংঘাত যদি ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে এটি মধ্যপ্রাচ্যকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলবে এবং বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দামে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।
#ইরান #ইসরায়েল #যুক্তরাষ্ট্র #মধ্যপ্রাচ্য #সামরিকঘাঁটি #ইরানইসরায়েলসংঘাত #USMilitary #WarAlert #IsraelIranConflict