ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২৭ মে ২০২৫
আপডেট : ২৭ মে ২০২৫
এ খালাসের পেছনে ‘জুলাই আন্দোলন’কারীদের অবদানের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে ড. আসিফ নজরুল লেখেন,
“নির্দোষ প্রমাণ হওয়ায় মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস পেয়েছেন এটিএম আজহারুল ইসলাম। এই রায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় ও পরবর্তী আপিল বিভাগের রায় বাতিল করা হয়েছে। এই সুবিচার নিশ্চিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে জুলাই আন্দোলনের সাহসী নেতৃত্বের কারণে।”
তিনি আরও লেখেন, “এই সুযোগকে রক্ষা করা এখন আমাদের সকলের দায়িত্ব।”
মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৫২ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত সদস্যের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চে আরও ছিলেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, জুবায়ের রহমান চৌধুরী, মো. রেজাউল হক, ইমদাদুল হক, মো. আসাদুজ্জামান ও ফারাহ মাহবুব।
এই রায়ের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো একজন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে সম্পূর্ণভাবে খালাস পেলেন।
আজহারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির, ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক ও নাজিব মোমেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক এবং প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় ও মহানগর পর্যায়ের শীর্ষ নেতারা, যাদের মধ্যে ছিলেন নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানসহ আরও অনেকে।