ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৫
আপডেট : ২৯ মে ২০২৫
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এই পর্যবেক্ষণ প্রদান করে।
গত ২৬ মে ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না দেওয়ার বিষয়ে গেজেট জারি করার বিপরীতে দায়ের করা রিটের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের শুনানি হয়। আগেই হাইকোর্ট ওই রিট আবেদনটি শুনানির জন্য গ্রহণযোগ্য নয় বলে সরাসরি খারিজ করে। আপিল শুনানিতে ইশরাকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, আর আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান মিলন।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেসময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস পৌনে দুই লাখ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন। কিন্তু ২০২৫ সালের ২৭ মার্চ নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ মো. নুরুল ইসলাম ২০২০ সালের ওই নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের রায় পাওয়ার পর ২২ এপ্রিল গেজেট প্রকাশের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চাওয়া হয়। এরপর ২৭ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন ইশরাককে ডিএসসিসির নতুন মেয়র হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে।
এরপর থেকেই মেয়র ইশরাকের শপথ নেওয়া নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়। মামলার পাশাপাশি গত কয়েকদিন ধরে ডিএসসিসি ভবনের একটি অংশের কর্মচারীরা মেয়র ইশরাকের দায়িত্ব গ্রহণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। তারা নগর ভবনের প্রধান ফটক আটকিয়ে রেখেছেন এবং অধিকাংশ বিভাগের কাজ বন্ধ রাখছেন।
এর আগে ১৪ মে মেয়র পদ নিয়ে রিট আবেদন করা হয়, যেখানে একইসঙ্গে মেয়র ঘোষণা সংশ্লিষ্ট বিচারকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করা হয়। রিটটি হাইকোর্টে আদালত গ্রহণ করেনি। আপিল বিভাগের এই নির্দেশনার ফলে এখন এই বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের হাতে চলে এসেছে।
এ বিষয়ে আপিল বিভাগ বলেছে, নির্বাচন কমিশন হল মূল সংস্থা যাদের কর্তৃত্বের মধ্য দিয়ে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। তাই ইশরাকের মেয়র পদ নিয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব ইসির।