ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২৪ জুন ২০২৫
আপডেট : ২৪ জুন ২০২৫
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের ভিত্তিতে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন মঙ্গলবার (২৪ জুন) এই আদেশ দেন।
দুদক জানায়, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস ও সাইপ্রাসে সাইফুল ও তাঁর স্ত্রীর নামে থাকা ২৫টি কোম্পানির শেয়ার এবং সাইপ্রাসে একটি অভিজাত দোতলা বাড়ি অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
এর আগে তিন ধাপে সাইফুল আলম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্টদের নামে থাকা ১৬ হাজার কোটি টাকার শেয়ার ও ১৮০ কোটির বেশি টাকার জমি অবরুদ্ধ করা হয়েছে। এসব সম্পদের মধ্যে রয়েছে:
✅ ৮৩৩ কোটি টাকার শেয়ার (২৩ ফেব্রুয়ারি)
✅ ৫৫৯ কোটি টাকার জমি (২৭ এপ্রিল)
✅ ১৮০ কোটি টাকার সম্পদ (১৭ জুন)
✅ ঢাকার গুলশান, বসুন্ধরা, ধানমন্ডির ফ্ল্যাট-বাড়ি
✅ ৬৮টি ব্যাংক হিসাব (১৪ জানুয়ারি), ১২৫টি হিসাব (১৯ ডিসেম্বর)
দুদক আরও জানিয়েছে, ১০০ কোটি ডলার পাচার সংক্রান্ত তদন্ত এখনও চলমান রয়েছে।
এস আলম গ্রুপকে বিধিবহির্ভূত ঋণ অনুমোদনে সহায়তার অভিযোগে ইসলামী ব্যাংকের নিম্নোক্ত কর্মকর্তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে:
মোহাম্মদ মনিরুল মাওলা
মিফতাহ উদ্দিন
মোহাম্মদ ইহসানুল ইসলাম
মো. সিরাজুল কবির
মোহাম্মদ কায়সার আলী
তাহের আহমেদ চৌধুরী
মোহাম্মদ মোস্তাক আহমেদ
হোসেন মোহাম্মদ ফয়সাল
আহাম্মদ জুবায়েরুল হক
এস এম তানভীর হাসান
দুদকের ভাষ্যমতে, ওই কর্মকর্তারা দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন—তাই নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজনীয় ছিল।
সাইফুল আলম ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নামে-বেনামে ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করে বিদেশে সম্পদ গড়ে তোলার অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
এরপর থেকে একাধিক দফায় ব্যাংক হিসাব, জমি, শেয়ার ও বিদেশি সম্পদ অবরুদ্ধ করা হয়েছে। চলমান তদন্তে আরও জালিয়াতির তথ্য সামনে আসছে বলে দুদকের দাবি।
#এসআলমগ্রুপ #সাইফুলআলম #দুদক #সম্পদক্রোক #মানিলন্ডারিং #ইসলামীব্যাংক #আন্তর্জাতিকপাচার #বাংলাদেশব্যাংক #BVI #সাইপ্রাস #AntiCorruption