ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৫
আপডেট : ১৬ জুন ২০২৫
এই আইনের অধীনে একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী ‘গুমবিষয়ক কমিশন’ গঠনের কথাও জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (১৬ জুন) সকালে সচিবালয়ে জাতিসংঘের বলপ্রয়োগে বা অনিচ্ছাকৃতভাবে গুমবিষয়ক কার্যনির্বাহী দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানান।
ড. আসিফ নজরুল বলেন,
“গুম সংক্রান্ত আইন তৈরির উদ্যোগকে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল সাধুবাদ জানিয়েছে। তারা আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।”
আইন উপদেষ্টা জানান, এই আইনের মাধ্যমে গুমের মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জবাবদিহিতা বাড়বে। তিনি বলেন,
“এই আইন হলে কাউকে গুম করা যেকোনো সরকারের জন্যই রিস্ক ও কষ্টসাধ্য হবে।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তির আগেই আমরা আরও কিছু কার্যকর উদ্যোগ নিতে চাই। আশা করছি, আগামী এক মাসের মধ্যেই গুমবিষয়ক আইনের খসড়া প্রস্তুত হবে।”
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আইন উপদেষ্টা বলেন,
“বিএনপি, জামায়াতসহ বিরোধী দলের অনেক নেতাকর্মীও গুমের শিকার হয়েছেন। এনসিপি, ইসলামী দলসহ অনেকেই গুমবিরোধী অবস্থানে রয়েছেন। তাই এটি একটি জাতীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আইন, যা রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে গ্রহণযোগ্য হবে বলে মনে করি।”
আইনে গুম হওয়া ব্যক্তিদের ‘মিসিং সার্টিফিকেট’ দেওয়ার সুযোগ রাখার বিষয়েও সরকারের চিন্তাভাবনার কথা জানান তিনি। এই সার্টিফিকেটের মাধ্যমে ডেথ সার্টিফিকেটের মতো পরিবারগুলো প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ও আইনি সুবিধা পেতে পারে।
#গুম
#আসিফনজরুল
#মানবাধিকার
#জাতিসংঘ
#গুমবিরোধী_আইন
#গণঅভ্যুত্থান
#বাংলাদেশ_নতুন_আইন
#গুমবিষয়ক_কমিশন
#মিসিং_সার্টিফিকেট