ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২৫
আপডেট : ০৪ জুন ২০২৫
বুধবার বেলা ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
প্রধান বিচারপতি (অব.) মঈনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে কমিশনের সদস্য নূর খান, সাজ্জাদ হোসেন এবং নাবিলা ইদ্রিস এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ও মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া।
প্রতিবেদন গ্রহণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "এই প্রতিবেদন শুধু দেশের মানুষের জন্য নয়, বৈশ্বিকভাবে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। এটি ওয়েবসাইট এবং বই আকারে প্রকাশ করতে হবে।"
তিনি আরও বলেন, "কমিশনের প্রতিবেদন একেকটি গা শিউরে ওঠা ঘটনার দলিল। যেসব মানুষ সমাজের সম্মানিত হিসেবে পরিচিত, তারাই এই নিপীড়নের পেছনে ছিলেন। এসব ঘটনা মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য একটি ‘হরর মিউজিয়াম’ হওয়া উচিত।”
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত ১,৮৫০টি অভিযোগ জমা পড়েছে, যার মধ্যে ১,৩৫০টি যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। সদস্যদের আশঙ্কা, চূড়ান্তভাবে অভিযোগের সংখ্যা ৩,৫০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
তারা জানান, তিন শতাধিক ব্যক্তি এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টার কাছে কমিশন একটি প্রস্তাবনা উপস্থাপন করে যাতে নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবার অন্তত ব্যাংক লেনদেন করতে সক্ষম হয়। বর্তমান আইন অনুযায়ী সাত বছর নিখোঁজ থাকলে ব্যক্তিকে মৃত ধরে নেওয়ার বিধান রয়েছে। কমিশন এই সময়সীমা পাঁচ বছরে নামিয়ে আনার সুপারিশ করে।
প্রধান উপদেষ্টা কমিশন সদস্যদের সাহসিকতা ও নিরলস পরিশ্রমের প্রশংসা করেন এবং বলেন, "আপনারা যারা মানুষের অধিকারের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন, ভবিষ্যতের প্রজন্মের জন্য আপনারা অনুপ্রেরণা।"
তিনি কমিশনকে করণীয়গুলোর একটি পরিষ্কার তালিকা প্রস্তুত করতে বলেন, যাতে স্বল্প সময়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহ কার্যক্রম শুরু করতে পারে।
একজন সদস্য জানান, অনুশোচনায় ভোগা কিছু কর্মকর্তাও কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। দুজন এমন কর্মকর্তা লিখিতভাবে আত্মশুদ্ধির বার্তা জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন, যেগুলোর সত্যতা তৎকালীন সেনাপ্রধান প্রকাশ্যে স্বীকার করেছিলেন।
#গুম_তদন্ত_কমিশন
#মানবাধিকার
#নিখোঁজ
#ডক্টর_মুহাম্মদ_ইউনূস
#বাংলাদেশ
#ইন্টারিম_প্রতিবেদন
#হিউম্যান_রাইটস
#নির্যাতন_ও_গুম
#সুশাসন