ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৫
আপডেট : ২২ জুন ২০২৫
শনিবার তুরস্কের ইস্তানবুলে অনুষ্ঠিত ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) ৫১তম পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে তিনি এই আহ্বান জানান।
ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক হামলাকে ‘বেআইনি ও আগ্রাসী’ আখ্যা দিয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, “এই হামলা জাতিসংঘ সনদ ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে। এটি শুধু ইরানের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ নয়, বরং গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।”
তিনি অবিলম্বে ইসরায়েলের এ ধরনের উসকানিমূলক তৎপরতা বন্ধের আহ্বান জানান এবং বলেন, “কূটনীতি ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমাদের শান্তির পথে এগোতে হবে।”
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে এখনই। ফিলিস্তিনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি ওআইসিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আইসিজে ও আইসিসি’র মাধ্যমে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। বলেন, “আমাদের সংহতিকে কৌশলগত ও টেকসই পদক্ষেপে রূপান্তর করতে হবে।”
বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দুর্দশার বিষয়টিও জোরালোভাবে তুলে ধরেন তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, “রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক চাপ বাড়ানো দরকার।”
তিনি ওআইসির আইনি উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, “রোহিঙ্গা ইস্যুকে ওআইসি টেন ইয়ার প্রোগ্রামের কৌশলগত লক্ষ্য হিসেবে রাখায় আমরা কৃতজ্ঞ।”
সম্মেলনের ফাঁকে তিনি মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাতো সেরি উটামা হাজি মোহাম্মদ, ইরাকের ফুয়াদ হোসেন, উজবেকিস্তানের সাইদভ বাখতিয়র ওদিলোভিচ এবং পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন। আলোচনায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও মুসলিম বিশ্বের চ্যালেঞ্জ নিয়ে মতবিনিময় হয়।
#বাংলাদেশ_কূটনীতি #ইসরায়েল #ওআইসি #ফিলিস্তিন #রোহিঙ্গা #তৌহিদ_হোসেন #আন্তর্জাতিক_রাজনীতি #জাতিসংঘ