ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ৩১ মে ২০২৫
আপডেট : ৩১ মে ২০২৫
শনিবার (৩১ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত ‘গুমের সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে বিচার কর’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা জানান। এই সেমিনার আয়োজন করে মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’। ১৭ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত আন্তর্জাতিক গুম সপ্তাহ পালিত হয়।
চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম জানান, ‘আমরা বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জুলাই ও আগস্ট মাসের হত্যাযজ্ঞের বিচার দৃশ্যমান হবে। ইতিমধ্যেই ১০ থেকে ১৫টি উল্লেখযোগ্য গুমের ঘটনার তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে এবং জুন মাসের মধ্যে সেই তদন্ত প্রতিবেদনগুলো পাওয়া যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিচার এমনভাবে সম্পন্ন করা হবে যাতে কেউ মানবাধিকার লঙ্ঘন কিংবা বিচারের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলতে না পারে। অতীতে যেসব বিচার প্রক্রিয়ায় অবিচার হয়েছে, সেগুলো আর যেন না ঘটে তার জন্য আমরা বিশেষভাবে সতর্ক।’
মো. তাজুল ইসলাম জানান, ‘বিচার প্রক্রিয়ায় কিছুটা বাধা থাকলেও তা অনেকটাই দূর হয়েছে। গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে কাজ চলছে। আমরা চেষ্টা করছি যেন দ্রুত গ্রেপ্তার নিশ্চিত করা যায়।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘অপরাধের কাঠামো ও অপরাধীদের সনাক্তকরণে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এখনো তথ্য সংগ্রহ করছে এবং তা প্রমাণের ভিত্তিতে কাজ করছে।’
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘বিচার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড মেনে হতে হবে, যাতে বিচার নামের আড়ালে অবিচার না হয়। আমরা নিশ্চিত করছি, বিচার প্রক্রিয়া সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।’
তিনি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘গুম ও আয়নাঘরের নিউক্লিয়াস’ বলে উল্লেখ করে জানান, ‘তদন্ত শেষ করতে যুক্তিসংগত সময় প্রয়োজন, কিন্তু বিচার কাজ পুরোদমে চলছে।’
#আন্তর্জাতিকঅপরাধট্রাইব্যুনাল #শেখহাসিনা #গণহত্যা #মানবাধিকার #গুম #আদালত #বাংলাদেশ #বিচার #জাতীয়প্রেসক্লাব