ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৫
আপডেট : ২৯ মে ২০২৫
কর্মবিরতির শেষে ঘোষিত হয়েছে নতুন কর্মসূচিও, যেখানে রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান।
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের ডাকে কর্মচারীরা সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেন। ফোরামের ঘোষণায় বলা হয়, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন এই কর্মসূচি চলবে।
তবে ব্যতিক্রম থাকবে আগামী রোববার (১ জুন) ও সোমবার (২ জুন)। এ দুইদিন কর্মবিরতির পরিবর্তে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করা হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে আজকের কর্মবিরতির পর সাংবাদিকদের সামনে পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা দেন ফোরামের কো-চেয়ারম্যান বাদীউল কবীর, মুহা. নূরুল ইসলাম ও কো-মহাসচিব নজরুল ইসলাম।
তারা জানান—
রোববার: স্মারকলিপি দেওয়া হবে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, ফাওজুল কবির খান এবং সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের কাছে।
সোমবার: স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হবে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলমের কাছে।
এছাড়া মাঠপর্যায়ে সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের মাধ্যমেও এই স্মারকলিপি পৌঁছে দেওয়া হবে।
ঐক্য ফোরামের নেতারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, জাপানে সফররত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশে ফিরলে এ বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ আসবে।
তাদের ভাষায়, “আমরা আশা করি, ঈদের আগে ভালো সংবাদ পাবো। সেই ভালো সংবাদ নিয়েই আমরা ঈদুল আজহা উদযাপন করবো।”
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধন করে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর থেকেই সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীরা এই অধ্যাদেশের বিরোধিতায় নেমেছেন।
তাদের মতে, সংশোধিত এই অধ্যাদেশ সরকারি চাকরিজীবীদের অধিকার ক্ষুণ্ণ করবে এবং প্রশাসনিক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবে।
সরকার গত রোববার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই অধ্যাদেশ জারি করলে আন্দোলন আরও জোরদার হয়।
এই কর্মসূচি শুধু সচিবালয়ে সীমাবদ্ধ থাকছে না—আন্দোলন এখন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। সরকারের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া না এলেও কর্মচারীদের লাগাতার কর্মবিরতি এবং স্মারকলিপি দেওয়ার উদ্যোগে প্রশাসনিক কার্যক্রমে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।