ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ৩১ মে ২০২৫
আপডেট : ৩১ মে ২০২৫
শনিবার (৩১ মে) জাতীয় ধূমপান ও তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে তামাক নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখা ১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন,
“তামাক কোম্পানির বোর্ড সদস্য হিসেবে সচিবদের থাকা উচিত কি না, সেটি ভেবে দেখা দরকার। এটি নীতিনির্ধারণে বড় ধরনের বৈপরীত্য সৃষ্টি করছে। জনস্বার্থে যে কাজ রাষ্ট্রকে করতে হবে, সেখানে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়।”
তিনি আরও বলেন, দেশের প্রচলিত অনেক আইনের সঠিক বাস্তবায়ন হয় না। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নয়।
তামাক কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন,
“তারা ই-সিগারেটসহ নানা পণ্যের মাধ্যমে তরুণদের ধূমপানে প্রলুব্ধ করছে। আমরা তাদের ফাঁদে পা দেব না। ধূমপানের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।”
প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান বলেন,
“তামাক কোম্পানিগুলোর প্রভাব এমনভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রে ঢুকে পড়েছে যে, শক্ত অবস্থান নেওয়া এখন কঠিন হয়ে পড়েছে।”
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন,
“সরকার ই-সিগারেট আমদানি নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু কিছু কোম্পানি এখনো এর উৎপাদনের চেষ্টা চালাচ্ছে। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও ই-সিগারেটের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে, যা উদ্বেগজনক।”
তিনি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করার জন্য সংশোধনের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন।
অনুষ্ঠানে ৯টি ক্যাটাগরিতে ১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান-কে তামাক নিয়ন্ত্রণে অবদানের জন্য জাতীয় সম্মাননা প্রদান করা হয়। তাদের মধ্যে ছিলেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা, বেসরকারি সংস্থা, চিকিৎসক এবং গণমাধ্যমকর্মীরা।
#তামাক_নিয়ন্ত্রণ #স্বাস্থ্য_উপদেষ্টা #ই_সিগারেট #শেখ_হাসিনা #গণস্বাস্থ্য #জনস্বার্থ #তামাক_বোর্ড #সচিব #জাতীয়_সম্মাননা #ধূমপান_মুক্ত_বাংলাদেশ #স্বাস্থ্যনীতি #AntiTobacco #TobaccoControl #BangladeshHealthPolicy