ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৫
আপডেট : ২৪ মে ২০২৫
বরগুনা শহরের কলেজছাত্র অনিক হত্যাকাণ্ডের ছয় বছর পর অবশেষে গ্রেপ্তার হলেন মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামি সালাউদ্দিন গাজী।
শনিবার (২৪ মে) বরগুনা সদর থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ এই তথ্য জানায়।
👉 গ্রেপ্তার স্থান: তালতলী উপজেলার ফকিরহাট এলাকা
👉 গ্রেপ্তারকারী ইউনিট: বরগুনা সদর থানা পুলিশ
👉 গ্রেপ্তারকৃত আসামি: সালাউদ্দিন গাজী, পিতা: আবদুস সত্তার গাজী, গ্রাম: কাঁঠালতলী, ঢলুয়া ইউনিয়ন
📅 তারিখ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩
📍 স্থান: শহীদ স্মৃতি সড়ক, বরগুনা
🧪 পদ্ধতি:
চেতনানাশক মেশানো কোমল পানীয় খাইয়ে অচেতন
পরে ডিশ লাইনের তার দিয়ে গলায় ফাঁস
মরদেহ গুম করা হয়
💰 মুক্তিপণ দাবি: ৩ লাখ টাকা
🧱 লাশ উদ্ধার: ১৮ দিন পর, সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের পুরাতন ভবনের সেপটিক ট্যাংক থেকে
📅 রায় ঘোষণার বছর: ২০১৯
⚖️ আদালতের রায়: মৃত্যুদণ্ড
🏃♂️ সালাউদ্দিনের অবস্থান: রায় ঘোষণার আগেই ভারতে পালিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন
🔍 বর্তমান অবস্থা: গোপনে দেশে ফিরে আসার পর প্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেপ্তার
অনিকের বাবা সুবল চন্দ্র রায় বলেন:
“আমার ছেলে হত্যার পর বহু বছর অপেক্ষা করেছি। আজ দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হয়েছে।
কিন্তু শান্তি পাব তখনই, যখন হত্যাকারীর মৃত্যুদণ্ড দ্রুত কার্যকর হবে।”
বরগুনা সদর থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান জানান:
“দীর্ঘ ছয় বছর পলাতক থাকার পর সালাউদ্দিন গাজী দেশে ফিরে আত্মগোপনে ছিলেন।
গোপন তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজই আদালতে পাঠানো হচ্ছে।”
স্থানীয়দের মতে, অনিক হত্যার মতো নৃশংস ঘটনার বিচার পুরোপুরি কার্যকর হলে এটি সমাজে আইনের শাসনের শক্ত বার্তা হিসেবে কাজ করবে।
📌 আপনার মতামত দিন:
এ ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কি অপরাধপ্রবণতা কমাতে সাহায্য করে?
আপনি কী দ্রুত বিচার কার্যকর দেখতে চান?