Admin
প্রকাশ : 2 সপ্তাহ আগে
আপডেট : 2 সপ্তাহ আগে
এই দাবি তারা জানায় ২০ মার্চ ২০২৫ তারিখে, জাতীয় প্রেসক্লাবে আহছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিয়িং আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে। এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আহছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিয়িং-এর সমন্বয়ক মারজানা মুনতাহা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনটির সদস্য তাসনিম হাসান আবির ও তাহমিনা খাতুন।
তরুণদের মতে, সিগারেটের নিম্ন এবং মধ্যম স্তরের দাম কাছাকাছি হওয়ায় অনেকেই কোন একটি স্তরের সিগারেট বেছে নিচ্ছে। তাই, যদি এই দুই স্তরকে একত্রিত করে দাম বাড়ানো হয়, তাহলে স্বল্প আয়ের মানুষ এবং তরুণরা ধূমপান কম করবে।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটের প্রতি ১০ শলাকার খুচরা মূল্য ৯০ টাকা, উচ্চ স্তরের সিগারেটের খুচরা মূল্য ১৪০ টাকা এবং প্রিমিয়াম স্তরের খুচরা মূল্য ১৯০ টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাব। এছাড়া, বিড়ির প্রতি শলাকার দাম অন্তত ১ টাকা করারও দাবি জানানো হয়।
তাদের সুপারিশ অনুযায়ী, তামাক পণ্যের কর কাঠামো সংস্কার করলে সিগারেটের ব্যবহার ১৫.১ শতাংশ থেকে কমে ১৩.৩ শতাংশে নেমে আসবে। এতে প্রায় ২৪ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ধূমপান ছেড়ে দেবে এবং ১৮ লক্ষ কিশোর-তরুণ সিগারেট থেকে বিরত থাকবে। এভাবে সরকারের রাজস্ব আয় হবে ২০ হাজার কোটি টাকা, যা পূর্বের চেয়ে ৪৩ শতাংশ বেশি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি। তিনি বলেন, “আগামী প্রজন্মকে তামাকের করাল গ্রাস থেকে বাঁচাতে হলে তামাক পণ্যের ওপর করের হার বাড়াতে হবে, যা মূল্যস্ফীতি এবং আয়বৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তামাক ব্যবহারকারী দেশ। প্রতিবছর তামাক পণ্য বিক্রি থেকে যে রাজস্ব আসে, তা তামাকজনিত স্বাস্থ্য খরচের মাত্র ৭৫ শতাংশ। যদি প্রস্তাবিত কর বৃদ্ধি করা হয়, তবে সিগারেট বিক্রি থেকে রাজস্ব আসতে পারে ৬৮ হাজার কোটি টাকা, যা বর্তমান অর্থবছরের তুলনায় ৪৩ শতাংশ বেশি।”