ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ৩১ মে ২০২৫
আপডেট : ৩১ মে ২০২৫
দীর্ঘ ১৩ বছর কারাভোগ শেষে মুক্তি পেলেও, এখনো কোনো দলীয় পদ পাননি তিনি। তবে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির হিসেবে তাঁর নাম বিবেচনায় আছে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
গত ২৮ মে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সর্বসম্মতভাবে তাঁকে খালাস দিলে পরদিন তিনি মুক্তি পান। এরপর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন—আজহারুল ইসলাম কি জামায়াতের পরবর্তী আমির হচ্ছেন?
দলীয় নেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এখনই তাঁর আমির হওয়ার সুযোগ নেই। কারণ, বর্তমান আমির ডা. শফিকুর রহমান ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচিত রয়েছেন। নতুন আমির নির্বাচন হবে বছর শেষে রুকনদের গোপন ভোটে।
দলীয় উচ্চপর্যায়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এ টি এম আজহারুল ইসলামকে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। বর্তমানে এই পদে রয়েছেন মুজিবুর রহমান, সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও আ ন ম শামছুল ইসলাম। গঠনতন্ত্রে নায়েবে আমিরের সংখ্যা নির্ধারিত নয়; প্রয়োজন অনুযায়ী বাড়ানো যেতে পারে।
বিস্ময়কর হলেও সত্য, দীর্ঘ কারাবাসেও তিনি জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ছিলেন। সূত্র মতে, রুকনদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়ে তিনি এই পদে ছিলেন। এ ছাড়া গোপন ব্যালটে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্য থেকেও তাঁকে একাধিকবার শূরার সদস্য নির্বাচিত করা হয়।
জানা গেছে, শূরা নির্বাচনের তিনটি ধাপ রয়েছে:
১. জেলা রুকনদের সরাসরি ভোট
২. শূরার নির্বাচিত সদস্যদের গোপন ভোটে ৩০ জন কেন্দ্রীয় নেতা নির্বাচন
৩. আমিরের পরামর্শে অতিরিক্ত সদস্য মনোনয়ন
এই প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপে এ টি এম আজহারের নাম বারবার এসেছে বলে জানা গেছে।
২০১১ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার সময় তিনি দলের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ছিলেন। আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের অনুপস্থিতিতে একবার ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
📌 বিশেষ দ্রষ্টব্য:
এ টি এম আজহারুল ইসলামের রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তন জামায়াতের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব কাঠামো ও নির্বাচনী কৌশলে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।