Admin
প্রকাশ : 3 সপ্তাহ আগে
আপডেট : 3 সপ্তাহ আগে
বুধবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর ইস্কাটন লেডিস ক্লাবে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে ভার্চ্যুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, ধর্মীয় উগ্রবাদী ও চরমপন্থিদের প্রতিহত করতে হবে। সেই সঙ্গে গণহত্যাকারীদের বিচার করাই হবে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত। নির্বাচন না দেয়ার কারণেই ফ্যাসিস্টদের চরমভাবে বিদায় নিতে হয়েছে। তাই নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা ও কয়েকটি রাজনৈতিক দল কিছুটা ভিন্ন সুরে কথা বলছে। যদি জনগণের আকাঙ্ক্ষা উপেক্ষা করে গৌণ উদ্দেশ্যকে গুরুত্ব দেয়া হয়, তবে জনগণের কাছে ভুল বার্তা যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, গত দেড় দশকের ফ্যাসিবাদী শাসন-শোষণে দেশের শুধু শিক্ষাব্যবস্থা, রাজনীতি, অর্থনীতি এ সব কিছু ধ্বংস হয়নি, বরং বাংলাদেশের আবহমানকালের ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক মূল্যবোধকেও ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। সমাজে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ঘৃণার বিষবাষ্প, বিনষ্ট করে দেওয়া হয়েছে সামাজিক সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্বের বন্ধন।
একটি রাষ্ট্র ও সমাজের জনগোষ্ঠীর মধ্যে ধর্মীয়, সামাজিক সম্প্রীতি ও মূল্যবোধ যদি বিনষ্ট করে দেওয়া যায়, তখনই সমাজব্যবস্থা অবক্ষয়, ভঙ্গুর, নিষ্ঠুর ও অমানবিক হয়ে ওঠে। ভঙ্গুর রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থা উগ্রবাদ আর চরমপন্থা বিকাশের এক উর্বর ভূমিতে পরিণত হয়, বলেন তিনি।
দেশে হঠাৎ করেই অতীতের মতো নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে মন্তব্য করে তারেক বলেন, দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীদের নিরাপত্তাহীন রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব। সরকার, প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি কিংবা অন্য কোনো কাজে হয়তো বেশি মনোযোগী থাকার কারণে, আমাদের নারীরা নিরাপত্তা সংকটে পড়েছে কি না, এ বিষয়টি গভীরভাবে ভাবার প্রয়োজন আছে।ধর্মীয় উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিলে গণতন্ত্রের কবর রচনা হবে: তারেক রহমান
দেশে ধর্মীয় উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিলে গণতন্ত্রের কবর রচনা হবে এবং এর ফলে দেশের ইমেজ সংকটে পড়বে—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি এই মন্তব্য করেন ১৯ মার্চ বুধবার রাজধানীর ইস্কাটন লেডিস ক্লাবে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সম্মানে আয়োজিত একটি ইফতার মাহফিলে ভার্চ্যুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে।
তারেক রহমান বলেন, “ধর্মীয় উগ্রবাদী ও চরমপন্থিদের প্রতিহত করতে হবে।” তিনি আরও যোগ করেন, “গণহত্যাকারীদের বিচার করাই হবে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত। নির্বাচন না দেয়ার কারণেই ফ্যাসিস্টদের চরমভাবে বিদায় নিতে হয়েছে। তাই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ সময় সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা ও কিছু রাজনৈতিক দলের ভিন্ন সুরে কথা বলার বিষয়টিও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “যদি জনগণের আকাঙ্ক্ষা উপেক্ষা করে গৌণ উদ্দেশ্যকে গুরুত্ব দেয়া হয়, তবে তা জনগণের কাছে ভুল বার্তা পাঠাবে।”
তারেক রহমান আরো বলেন, “গত দেড় দশকের ফ্যাসিবাদী শাসন ও শোষণে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা, রাজনীতি এবং অর্থনীতি শুধু ধ্বংস হয়নি, বরং বাংলাদেশের ঐতিহ্যগত ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধও ধ্বংস হয়ে গেছে।” তিনি অভিযোগ করেন, এই শাসনামলে সমাজে ঘৃণা ছড়ানো হয়েছে এবং সামাজিক সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে বিনষ্ট করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “যদি একটি রাষ্ট্র ও সমাজের জনগণের মধ্যে ধর্মীয়, সামাজিক সম্প্রীতি ও মূল্যবোধ ধ্বংস হয়ে যায়, তবে সমাজব্যবস্থা অবক্ষয়ের দিকে চলে যায়, যা উগ্রবাদ এবং চরমপন্থার উত্থানের এক উর্বর ভূমিতে পরিণত হয়।”
দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণের মতো অপরাধ হঠাৎ করেই উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ার বিষয়টিও তারেক রহমানের উদ্বেগের কারণ হয়েছে। তিনি বলেন, “দেশের অর্ধেক জনগণ যদি নারীদের নিরাপত্তাহীনতায় রাখে, তবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব। সরকার, প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত কিংবা অন্য কোনো কাজে মনোযোগী থাকার কারণে নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় পড়েছে কি না, এ বিষয়টি গভীরভাবে ভাবার প্রয়োজন রয়েছে।”
তারেক রহমানের এই মন্তব্যগুলো দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সামাজিক অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ এবং প্রশ্ন উত্থাপন করেছে।