ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৫
আপডেট : ৩০ মে ২০২৫
শুক্রবার (৩০ মে) রাজধানীর হাইকোর্ট মাজার গেট এলাকায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দুস্থ ও অসহায়দের মধ্যে তবারক বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “জাতি একটি সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে। নির্বাচনকে ঘিরে জাতির মধ্যে আশা-আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে। সেই প্রত্যাশা পূরণে এখনই প্রয়োজন একটি পরিষ্কার রোডম্যাপ।”
সালাহউদ্দিন দাবি করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হয়তো পর্যাপ্ত তথ্য ছিল না, তাই তিনি জাপান সফরে গিয়ে বলেছেন, কেবল একটি দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়।
“প্রধান উপদেষ্টা যখনই সংলাপের ডাক দিয়েছেন, বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল তাতে অংশ নিয়েছে এবং দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে,” বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “বিএনপি, যুগপৎ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ও সমমনা সব দলই ডিসেম্বরের মধ্যে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়।”
এর আগে সকালে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দুস্থদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, “জিয়াউর রহমান ছিলেন স্বাধীনতার প্রতীক, যিনি জাতিকে আত্মনির্ভরতা ও গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের স্বপ্ন রুখে দিতে।”
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমরা একটি সাংবিধানিক কাঠামোর ভিত্তিতে সাম্য, সুবিচার ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়তে চাই।”
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা আরও বলেন, “যে ‘সংস্কার’ ও ‘বিচারের’ কথা বলা হচ্ছে, তা একটি চলমান প্রক্রিয়া— এর আড়ালে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার যুক্তি খোঁজার সুযোগ নেই।”
তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটিয়ে আমরা একটি গণতান্ত্রিক, দায়িত্বশীল এবং জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাই।”
📌 পাঠকের জন্য প্রাসঙ্গিক প্রেক্ষাপট:
অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে জাতীয় সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন দল নির্বাচনের সময়সূচি ও কাঠামো নিয়ে মতামত দিয়েছে। সালাহউদ্দিন আহমেদের বক্তব্য সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এসেছে।