ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৫
আপডেট : ১৬ জুন ২০২৫
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ‘কালো দিবস’। কারণ, ওই দিন তৎকালীন সরকার বাকশাল কায়েম করে বহুদলীয় রাজনীতি এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা একেবারে বন্ধ করে দিয়েছিল।
তারেক রহমান লেখেন:
“১৯৭৫ সালের ১৬ জুন শাসকগোষ্ঠী সব রাজনৈতিক দল বাতিল করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করে। তারা চারটি অনুগত পত্রিকা রেখে বাকিদের বন্ধ করে দেয়। এতে বহু সাংবাদিক বেকার হয়ে যান, তাদের পরিবার চরম অনিশ্চয়তায় পড়ে।”
তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পর সরকার গণতন্ত্রের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
তারেক রহমান দাবি করেন, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই বহুদলীয় গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।” তিনি বাকশাল সরকারের কালাকানুন বাতিল করে নাগরিক স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তারেক রহমান লেখেন:
“শেখ হাসিনা তার পিতার পথ অনুসরণ করে একদলীয় শাসনের নতুন সংস্করণ তৈরি করেছেন। সংবাদমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট ইত্যাদি ড্রাকোনিয়ান আইন প্রণয়ন করে দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন,
“সাংবাদিকরা সারাক্ষণ আতঙ্কে থেকেছেন—সত্য বললেই নির্যাতনের খড়গ নেমে আসবে।”
তারেক রহমান বলেন:
“বিগত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর কিছুটা স্বাধীনতা ফিরেছে, তবে গণমাধ্যম এখনও পুরোপুরি মুক্ত নয়।”
তিনি এ অবস্থার পরিবর্তন চান:
“সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বহুদলীয় গণতন্ত্রের মৌলিক উপাদান। গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে হলে এ স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।”
১৬ জুন ১৯৭৫: বাকশাল গঠনের মাধ্যমে সংবাদপত্র বন্ধ ও একদলীয় শাসন শুরু হয়।
বিএনপি বরাবরই এই দিনটিকে “গণমাধ্যম নিধন দিবস” হিসেবে উল্লেখ করে।
বর্তমান সরকার ও আওয়ামী লীগ এ ব্যাখ্যার বিরোধিতা করে থাকে, তারা বলেন এটা ছিল ঐক্যবদ্ধ উন্নয়ন প্রচেষ্টা।
#তারেক_রহমান #গণমাধ্যম_স্বাধীনতা #বাকশাল #ফ্যাসিবাদ #ডিজিটাল_নিরাপত্তা_আইন #বিএনপি #বহুদলীয়_গণতন্ত্র #সংবাদপত্রের_স্বাধীনতা #১৬_জুন #বাংলাদেশ_রাজনীতি