ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৫
আপডেট : ৩০ মে ২০২৫
শুক্রবার রাজধানীর রোকেয়া সরণিতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। কর্মসূচির আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী প্রাইভেট ব্যাংকার্স ও ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন।
কাদের গনি বলেন, “শুধু অল্প সময় রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়েও জিয়াউর রহমান দেশকে দারিদ্র্য ও দুর্ভিক্ষ থেকে টেনে তুলেছেন। বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সাহস জুগিয়েছেন। তিনিই বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে আধুনিক রূপে পুনর্গঠন করেন।”
তিনি আরও বলেন, “জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তনের মাধ্যমে বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেন। তার নেতৃত্বে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র অপবাদ থেকে বাংলাদেশ বের হয়ে আসে।”
বিএফইউজে মহাসচিব বলেন, শেখ মুজিবের আমলে একদলীয় বাকশাল গঠনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করা হয়েছিল। “সে সময় গণমাধ্যম ছিল রুদ্ধ, রাজনৈতিক মতপ্রকাশ নিষিদ্ধ। জিয়া এসে আবারও সব রাজনৈতিক দলকে কার্যক্রম চালানোর সুযোগ করে দেন ‘রাজনৈতিক দল বিধি ১৯৭৬’ জারির মাধ্যমে।”
তিনি জিয়াকে ‘জাতিসত্তার রূপকার’ ও ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, “মাত্র ৪৫ বছর বয়সে জিয়া যে রাজনীতি, প্রশাসন ও উন্নয়ন দর্শন দিয়ে গেছেন, তা ইতিহাসে বিরল।”
কাদের গনি আরও দাবি করেন, “জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত বিএনপি দেশের এক ক্রান্তিকালে জন্ম নিয়েছে। আধিপত্যবাদী শক্তি যখন দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হরণে সক্রিয়, ঠিক তখনই জিয়া জনগণের পাশে দাঁড়ান।”
অনুষ্ঠানে সংগঠনের আহ্বায়ক শেখ মুহাম্মদ জায়েদ আল ফাত্তাহ, এম এ সাঈদ চৌধুরী, তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।