“নির্বাচনের আগেই সংস্কার, পরে নয়”: সারোয়ার তুষার

আগামী জাতীয় নির্বাচন ‘সংবিধান ও শাসনব্যবস্থায় মৌলিক সংস্কার’র ভিত্তিতে হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, “নির্বাচনের পর নয়, সংস্কার হবে নির্বাচন এর আগেই।”

মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে এনসিপি সংস্কার সমন্বয় কমিটির আয়োজনে ‘গণতান্ত্রিক রূপান্তর: মৌলিক সংস্কার ও নির্বাচন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

“৭০ অনুচ্ছেদ একনায়কতন্ত্রের লাইসেন্স”

সারোয়ার তুষার বলেন, “আমরা অতীতে দেখেছি—সংবিধানে বড় বড় সংশোধন হয়েছে এক ব্যক্তির ইচ্ছায়। সংসদ সদস্যরা দলের বিপক্ষে ভোট দিতে পারেন না, কারণ সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ তাদের বাধ্য করেছে।”

তিনি আরও বলেন, “যেখানে এক ব্যক্তির ইচ্ছায় রাষ্ট্রের পুরো চরিত্র বদলে ফেলা যায়, সেটা গণতন্ত্র নয়। এই একনায়কতান্ত্রিক ধারা রোধ করতে হলে এখনই সংস্কার জরুরি।”

“সংস্কার চাইলে এক-এগারোর ভয় দেখানো হচ্ছে”

সারোয়ার তুষার অভিযোগ করেন, এনসিপি যখন মৌলিক সংস্কারের কথা বলে, তখন কিছু রাজনৈতিক দল “এক-এগারোর ভয় দেখায়”। তিনি বলেন, “এক-এগারো কোনো ভিনগ্রহ থেকে আসেনি। এটা হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক মিমাংসাহীনতার কারণে। সুতরাং ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, বরং বসে সমাধানে আসুন।”

“সংস্কার কারও দলের এজেন্ডা নয়, এটা জাতীয় এজেন্ডা”

তিনি দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, “কেউ কেউ মনে করেন সংস্কার চাওয়া এনসিপির রাজনৈতিক কৌশল। আমরা পরিষ্কারভাবে বলছি—সংস্কার কোনো দলের এজেন্ডা নয়, এটা জাতির এজেন্ডা। সবাই মিলে এই সংস্কারের মালিকানা নিতে হবে।”

🗣️ সভায় আরও যাঁরা ছিলেন:

সভায় সভাপতিত্ব করেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন। আরও উপস্থিত ছিলেন:

• অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

• আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক

• মো. আশরাফ আলী আকন, প্রেসিডিয়াম সদস্য, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

• শরীফ ভূঁইয়া, সদস্য, সংবিধান সংস্কার কমিশন

• মির্জা এম হাসান, জ্যেষ্ঠ ফেলো, বিআইজিডি

• সৈয়দ হাসিব উদ্দিন হোসেন, নেতা, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন

📌 সংক্ষেপে মূল দাবিগুলো: