ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ০১ জুলাই ২০২৫
আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। দোয়া মাহফিলটি জুলাই-আগস্ট মাসে শহীদ, আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারী কর্মীদের স্মরণে আয়োজন করা হয়।
ডা. তাহের বলেন:
“জুলাইয়ের সফলতা নিয়ে অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করছেন। কিন্তু আমাদের দৃষ্টিতে এটি ছিল স্বৈরাচার বিদায়ের মাস, একটি মহান অর্জন। মানুষকে মুক্তি দেওয়ার সূচনা। এই বিপ্লব ব্যর্থ হয়েছে, এমন দাবি করার সময় এখনো আসেনি।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাই বিপ্লব এমন এক ঐক্যের পথ দেখিয়েছে, যেখানে ভিন্নমতের রাজনৈতিক দলগুলোও এক প্ল্যাটফর্মে এসেছিল। এটাই প্রমাণ করে জনগণ এখন অনেক বেশি সচেতন।”
আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জামায়াতের অবস্থান স্পষ্ট করে ডা. তাহের বলেন:
“সংস্কারবিহীন নির্বাচন দেশের জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করবে। আমরা বিশ্বাস করি, জনগণ আবারও লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। জামায়াত এমন প্রহসনের নির্বাচন কোনোভাবেই গ্রহণ করবে না।”
অনুষ্ঠানে জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন:
“জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিয়ে সরকারকে প্রমাণ করতে হবে, তারা পরিবর্তিত। বিচার, কাঠামো ও দলীয়করণ বন্ধ না হলে জনগণ এই নির্বাচনে আস্থা রাখতে পারবে না।”
তিনি আরও বলেন, “শহীদ পরিবারগুলোর কথা না শুনে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেয়া চলবে না। সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে নেতৃত্বকে দায়িত্বশীল হতে হবে।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, জামায়াতের এই কণ্ঠস্বর ইঙ্গিত দিচ্ছে যে দলটি ভবিষ্যত নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত, তবে ‘সিস্টেম চেঞ্জ’ ছাড়া নয়। এটি বৃহত্তর বিরোধী জোটের সঙ্গে তাদের সমন্বয় বাড়ানোর ইঙ্গিতও হতে পারে।