ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৫
আপডেট : ২৯ মে ২০২৫
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুরে নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
সরকারের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে ইশরাক বলেন, “একজন নির্বাচিত মেয়রকে শপথ করাতে যেখানে সরকার ব্যর্থ, তারা কীভাবে তিনশ এমপিকে শপথ করাবে? এ ব্যর্থতা শুধু প্রশাসনিক নয়, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ওপরই আঘাত।”
ডিএসসিসির নির্বাচনে ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস বিজয়ী হন। ফলাফল প্রকাশের পর অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন আদালতের দ্বারস্থ হন।
চার বছর পর চলতি বছরের ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল এক রায়ে তাপসের নির্বাচনে জালিয়াতি প্রমাণিত হয়েছে মর্মে ইশরাক হোসেনকে বৈধ মেয়র ঘোষণা করে। ২৭ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন তার মেয়রত্বের গেজেট প্রকাশ করে।
তবে ওই রায়ের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হলে তা সরাসরি খারিজ করে দেওয়া হয়। পরে লিভ টু আপিল করা হলে বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগ পর্যবেক্ষণে জানায়, ইশরাককে শপথ পড়ানো হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সংবাদ সম্মেলনে ইশরাক বলেন, “আমার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ এখন কেবল আইনগত বিষয় নয়, এটি ন্যায়ের প্রশ্ন। এটি গণতন্ত্রের প্রশ্ন। আমি জনগণের রায় নিয়েই নির্বাচিত হয়েছি। আদালত সেই রায় দিয়েছে। এখন দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া হলে সেটি জনগণের রায়ের অবমূল্যায়ন।”
তিনি আরও বলেন, “যারা বলেন নির্বাচনের মাধ্যমে পরিবর্তন সম্ভব না, তাদের কাছে এখন প্রশ্ন— এক তরুণ রাজনীতিক যখন নির্বাচন, আদালত, গেজেট সব পার করে নগর ভবনে এসেছেন, তখন কী যুক্তিতে তাকে আটকে রাখা হয়?”
ইশরাক হোসেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও প্রয়াত মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে। ডিএসসিসি নির্বাচন ছিল তার প্রথম সরাসরি নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা।