ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ০৯ জুলাই ২০২৫
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
ইসরায়েলে বিমানঘাঁটি, হেলিকপ্টার হ্যাঙ্গার, গোলাবারুদের গুদামসহ বিশাল সামরিক প্রকল্প
সাত বছরের একটি দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ৯০ কোটি ডলার পর্যন্ত
প্রকল্পগুলোর অর্থ আসছে যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সামরিক সহায়তা তহবিল থেকে
ইরান-ইসরায়েল সাম্প্রতিক সংঘাতের পর এই ঘাঁটিগুলোর কৌশলগত গুরুত্ব আরও বেড়েছে
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় পুরনো বিমানঘাঁটির সংস্কার, যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার হ্যাঙ্গার নির্মাণ, জ্বালানি ও গোলাবারুদের গুদাম, এবং মেরামতের স্থাপনা নির্মাণ করছে।
🔸 একটি প্রকল্পে যুদ্ধবিমানের হ্যাঙ্গার নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ কোটি ডলার।
🔸 অন্য প্রকল্পে হেলিকপ্টার ঘাঁটি নির্মাণে ব্যয় হতে পারে ২৫ কোটি ডলার।
🔸 গোলাবারুদের জন্য একটি গুদাম তৈরিতে খরচ হবে প্রায় ১০ কোটি ডলার।
🔸 পুরো প্রকল্পে সাত বছরের নির্মাণ ও উন্নয়ন পরিকল্পনায় ব্যয় হতে পারে ৯০ কোটি ডলার পর্যন্ত।
এই প্রকল্পগুলোর অর্থ মূলত আসছে যুক্তরাষ্ট্রের Foreign Military Financing (FMF) তহবিল থেকে। এর আওতায় ইসরায়েল প্রতিবছর পায় ৩৮০ কোটি ডলার, যা যৌথভাবে সামরিক চুক্তির আওতায় ব্যয় করা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই অর্থ যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঠিকাদারদের মাধ্যমে খরচ করা হয়।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র আরও ১৮ হাজার কোটি টাকার (প্রায় ১৬.৫ বিলিয়ন ডলার) সামরিক সহায়তা দেয় ইসরায়েলকে।
২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলে গোপন সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করেছিল, যার কোডনেম ছিল ‘৯১১ নম্বর স্থাপনা’। সাম্প্রতিক প্রকল্পগুলোকেও সেই রকম কৌশলগত উদ্দেশ্যে ব্যবহারের আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ১২ দিনের ইসরায়েল-ইরান সাম্প্রতিক সংঘাতে কিছু সামরিক ঘাঁটিতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত লাগে। তবে মার্কিন প্রকল্পগুলোর পরিকল্পনা এই সংঘাতের আগেই নেওয়া হয়েছিল, বলে দাবি করেন এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা।
#মধ্যপ্রাচ্য_সামরিক_ঘাঁটি
#ইসরায়েল_যুক্তরাষ্ট্র
#USMilitaryBaseIsrael
#MiddleEastTension
#FMF_Funding
#ইরান_ইসরায়েল_সংঘাত
#USIsraelDefense
#MilitaryInfrastructure