জাহিদুল ইসলাম মেহেদী
প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২৫
স্থানীয় কৃষক থেকে শুরু করে পথচারী, শিক্ষার্থী, পেশাজীবী—প্রায় সবাই জলাবদ্ধতা, সেচ সংকট ও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছেন।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, খালের স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ না থাকায় জমিতে সেচ দেওয়া যাচ্ছে না। ফলে চাষাবাদে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। বর্ষায় অল্প বৃষ্টিতেই জমে উঠছে পানি, সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা ও প্লাবনের আশঙ্কা।
ঘন কচুরিপানার নিচে বিভিন্ন বিষাক্ত সাপ ও ক্ষতিকর প্রাণীর আবাস গড়ে উঠেছে বলে জানান এলাকাবাসী। এতে শিশু ও পথচারীদের জীবন হুমকির মুখে।
স্থানীয় বাসিন্দা নান্না তালুকদার বলেন,
“বছরের পর বছর ধরে এই সমস্যায় ভুগছি। কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আমরা চাই শান্তিতে বাঁচতে।”
বরগুনা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফয়জুল মালেক সজীব জানান,
“খালটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ অবস্থায় আছে। প্রতিদিন হাজারো মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে, অথচ এখনো পানি উন্নয়ন বোর্ড বা মৎস্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর উদ্যোগ দেখা যায়নি।”
হোসনাবাদ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য বজলুর রহমান বলেন,
“বিগত কয়েক বছর ধরে কচুরিপানায় খালটি বন্ধ। এতে কৃষিকাজ যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি নৌপথে চলাচলও বন্ধ হয়ে গেছে।”
বেতাগী উপজেলা ভারপ্রাপ্ত ইউএনও বিপুল শিকদার বলেন,
“খালের কচুরিপানা অপসারণের বিষয়ে অচিরেই প্রয়োজনীয় আলোচনা করে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বিষয়টিকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেখা হচ্ছে।”
🏞️ খাল: কাবিল আকন খাল, হোসনাবাদ ইউনিয়ন, বেতাগী
🪻 সমস্যা: কচুরিপানায় পূর্ণ হয়ে পানিপ্রবাহ সম্পূর্ণ বন্ধ
🚜 প্রভাব: সেচ সংকট, কৃষিক্ষেত্রে ক্ষতি, নৌচলাচল বন্ধ
🐍 ঝুঁকি: বিষাক্ত প্রাণীর বসবাসে জনস্বাস্থ্যের হুমকি
🗣️ দাবি: কচুরিপানা দ্রুত অপসারণ ও রক্ষণাবেক্ষণ
🏛️ প্রশাসনের বক্তব্য: পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস
#বরগুনা #বেতাগী #কাবিলআকনখাল #কচুরিপানা #খালবন্ধ #সেচসংকট #নৌযান #গ্রামীণবাংলাদেশ #স্থানীয়দুর্ভোগ #পানি_উন্নয়ন_বোর্ড