ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৫
আপডেট : ২০ জুন ২০২৫
বিশ্বব্যাপী আলোচিত এই ঘটনায় খামেনি ও তার পরিবারকে রাজধানী তেহরানের উত্তরের লাভিজানের একটি গোপন বাঙ্কারে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সূত্র বলছে, তার সঙ্গে রয়েছেন ছেলে মোজতবা খামেনি—যিনি ভবিষ্যতে তার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার অন্যতম সম্ভাব্য ব্যক্তি।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করে জানান:
"আমরা জানি তথাকথিত ‘সুপ্রিম লিডার’ কোথায় লুকিয়ে আছেন। তিনি সহজ টার্গেট, তবে আপাতত তাকে হত্যা করা হবে না। কিন্তু আমাদের ধৈর্য ফুরিয়ে আসছে।"
তিনি আরও বলেন:
"আমরা চাই না, আর কোনো আমেরিকান সৈন্য বা বেসামরিক নাগরিকের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হোক।"
বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি একটি "Pre-emptive Transfer of Authority", যা যুদ্ধকালীন সময় প্রধান কমান্ড কাঠামো সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে—বিশেষত যদি সুপ্রিম লিডার আহত বা নিহত হন। এই সিদ্ধান্তে বোঝা যাচ্ছে, ইরান এখন পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধে প্রবেশের প্রস্তুতিতে রয়েছে।
সংঘাতের অষ্টম দিনে ইসরায়েল ও ইরান একে অপরের বিরুদ্ধে একাধিক পাল্টা হামলা চালিয়েছে।
ইসরায়েল ইরানের সামরিক ঘাঁটি ও পরমাণু স্থাপনায় ব্যাপক ক্ষতি করেছে
জবাবে ইরান চালিয়েছে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩’, যেখানে ইসরায়েলের অন্তত ৩৯টি স্থাপনায় আঘাত হানে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র
ইরানি প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন:
"আমরা শান্তির পথে এগুতে চেয়েছি সবসময়। কিন্তু এখন স্পষ্ট, শান্তি আসবে তখনই যখন ইসরায়েল তাদের সন্ত্রাসী আগ্রাসন চিরতরে বন্ধ করবে। তা না হলে প্রতিক্রিয়া আরও কঠোর হবে।"