ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২৫
আপডেট : ০৪ জুন ২০২৫
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের উত্তর ওয়াজিরিস্তানে একটি গোয়েন্দা-ভিত্তিক অভিযান (আইবিও) চালিয়ে অন্তত ১৪ জন সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। নিহতরা সবাই ‘ফিতনা আল খোয়ারিজ’ নামের একটি জঙ্গিগোষ্ঠির সদস্য বলে দাবি করা হয়েছে।
এই গোষ্ঠিকে ‘ভারতীয় প্রক্সি বাহিনী’ বলে অভিহিত করেছে আইএসপিআর (Inter-Services Public Relations) — পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া শাখা। অভিযানের খবর নিশ্চিত করেছে প্রভাবশালী গণমাধ্যম জিও নিউজ।
আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়,
“গোপন গোয়েন্দা তথ্যে পাওয়া যায় যে ভারতীয় মদদপুষ্ট ফিতনা আল খোয়ারিজ গোষ্ঠির সদস্যরা দত্ত খেল এলাকায় অবস্থান করছে। নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত অভিযান চালিয়ে ১৪ জন সন্ত্রাসীকে হত্যা করে।”
অভিযানের পর ‘স্যানিটাইজেশন অপারেশন’ শুরু করা হয় যাতে এই এলাকা থেকে সব জঙ্গি কার্যক্রম নির্মূল করা যায়।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এই অভিযানে সেনাবাহিনীর সফলতার প্রশংসা করে বলেন,
“সন্ত্রাস ও মানবতার শত্রুদের ঘৃণ্য উদ্দেশ্য কখনোই সফল হবে না। আমরা তাদের চূর্ণ করে দেব। নিরাপত্তা বাহিনী ও সরকারের সমন্বিত প্রচেষ্টায় পাকিস্তান থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করব।”
📌 পাকিস্তান ইনস্টিটিউট ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (PICSCS)-এর তথ্য অনুযায়ী:
মে মাসে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা: ৮৫
নিহতের সংখ্যা: ১১৩ জন
নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য: ৫২ জন
বেসামরিক ব্যক্তি: ৪৬ জন
জঙ্গি: ১১ জন
শান্তি কমিটির সদস্য: ৪ জন
এপ্রিল মাসে হামলার সংখ্যা ছিল ৮১টি
এই অভিযানকে ঘিরে পাক-ভারত সম্পর্ক নতুন করে উত্তপ্ত হতে পারে, বিশেষ করে যখন এক পক্ষ অন্য পক্ষকে সন্ত্রাসে মদদ দেওয়ার অভিযোগ তুলছে। আন্তর্জাতিক মহলে এ ধরনের ‘প্রক্সি বাহিনী’র অস্তিত্ব ও মদদ নিয়ে আলোচনা বাড়ছে।
#Pakistan #India #ProxyWar #Terrorism #NorthWaziristan #ISPR #ShehbazSharif #FitanAlKhawarij #PakArmy #GeoNews