ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২৫
আপডেট : ০৪ জুন ২০২৫
বুধবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে ট্রাম্প প্রশাসন কৌশলগত পদক্ষেপ নিতে পারে।
তিনি জানান, ইউক্রেনের একটি ড্রোন হামলার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগে থেকে কিছু জানতেন না। তবে ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধান এখনো সম্ভব বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
গাজা সহায়তা ও মানবিক বার্তা
লেভিট আরও জানান, ফিলিস্তিনিদের খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছে দিতে “গাজা রিলিফ ফাউন্ডেশন” গঠন করা হয়েছে। এ সময় তিনি গাজায় সহায়তার জন্য অপেক্ষমাণ মানুষের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনাকেও গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণের কথা বলেন।
ইরানের সঙ্গে চুক্তির প্রস্তাব ও হুঁশিয়ারি
সংবাদ সম্মেলনে লেভিট বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ইরানকে একটি পারমাণবিক চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে ইরান যদি এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে, তবে এর “মারাত্মক পরিণতি” হতে পারে বলেও তিনি সতর্ক করেন।
ন্যাটো সম্মেলনে অংশগ্রহণ নিশ্চিত
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আসন্ন ন্যাটো সম্মেলনে অংশ নেবেন। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ইতিবাচক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কাজ করছে বলে উল্লেখ করা হয়।
ট্রাম্প ইতিপূর্বে দাবি করেছিলেন, “আমি প্রেসিডেন্ট থাকলে রাশিয়া কখনোই ইউক্রেনে হামলা চালাত না।” এমনকি তিনি বলেছিলেন, “২৪ ঘণ্টার মধ্যেই যুদ্ধ থামাতে পারতাম।” তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান কবে হবে, তা নিয়ে কোনো নিশ্চিত পূর্বাভাস এখনো পাওয়া যাচ্ছে না।
দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের ইঙ্গিত
সাম্প্রতিক বিবৃতিতে ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, “রাশিয়ার প্রতি কঠোর হলেও কৌশলগত অবস্থান নেওয়া হবে বাস্তবতার নিরিখে।” বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই বিবৃতি প্রমাণ করে, ট্রাম্প রাশিয়ার প্রতি পুরোপুরি নমনীয় থাকছেন না—তিনি প্রয়োজন হলে শক্ত অবস্থানও নিতে প্রস্তুত।
ট্যাগসমূহ:
#ট্রাম্প #রাশিয়া #ইউক্রেন_যুদ্ধ #নিষেধাজ্ঞা #গাজা #ইরান #ন্যাটো #যুক্তরাষ্ট্র #বিশ্বরাজনীতি #আন্তর্জাতিক_খবর #হোয়াইট_হাউস