ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২১ মে ২০২৫
আপডেট : ২১ মে ২০২৫
তিনি জানিয়েছেন, প্রথম ধাপে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ পাবেন গত বছরের আটকে পড়া প্রায় ৮ হাজার কর্মী, যাদের সব ধরনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল কিন্তু শ্রমবাজার বন্ধ থাকায় যেতে পারেননি।
বুধবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ বৈঠকের উদ্বোধনী অধিবেশন শেষে লুৎফে সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন:
“৮ হাজারের মতো কর্মী সব ধরনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেও মালয়েশিয়া যেতে পারেননি। এখন তাদের দ্রুত বোয়েসেলের মাধ্যমে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পাঠানো হবে। এটি হবে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর প্রথম ধাপ।”
লুৎফে সিদ্দিকী জানান, মালয়েশিয়া সরকার সীমিত সংখ্যক রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী নিতে আগ্রহী। অথচ বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক রিক্রুটিং এজেন্সি রয়েছে। এজন্য যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের আলোচনায় রয়েছে স্বচ্ছতা বজায় রেখে প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার বিষয়টি।
“যদি প্রয়োজন হয়, তবে আগের সমঝোতা স্মারকে (MoU) সংশোধনী আনার বিষয়েও আলোচনা করা হবে,” বলেন তিনি।
সাম্প্রতিক অতীতে মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগে সিন্ডিকেট নিয়ে বিতর্ক থাকলেও এবার সে ধরণের কোনো শর্ত বা ছাড় মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি বলে জানান বিশেষ দূত।
“মালয়েশিয়া সরকার কোনো মামলা প্রত্যাহার বা আগের সিন্ডিকেটকে পুনর্বহাল করার শর্ত দেয়নি,” বলেন লুৎফে সিদ্দিকী।
তিনি আরও জানান, মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা চালুর বিষয়টি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করছে। এতে দুই দেশের মধ্যে কর্মী বিনিময় আরও সহজ ও স্থায়ী হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই বৈঠকে মালয়েশিয়ার সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল ড. ম. শাহরিন বিন উমর। দুই দেশের মধ্যে কর্মী পাঠানোর পরবর্তী ধাপ ও সময়সীমা নির্ধারণে এ বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশেষ দূতের কথায় স্পষ্ট—সরকার এবার নিরপেক্ষ ও অনিয়মমুক্ত প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে কর্মী পাঠাতে চায়। আটকে থাকা ৮ হাজার কর্মীর প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে এ প্রচেষ্টার সূচনা হতে যাচ্ছে।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় শুরু হওয়া এই প্রক্রিয়া পরবর্তী ধাপে আরও বৃহত্তর পরিসরে বিস্তৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।