বিপ্লর তালুকদার, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৫
আপডেট : ১৯ জুন ২০২৫
“তুমি দুর্জয়, নির্ভীক মৃত্যুহীন এক প্রাণ”—এই শিলালিপিটি আজও দর্শনার্থীদের হৃদয়ে জাগিয়ে তোলে দেশপ্রেম ও গৌরবের অনুভব।
স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস ও অন্যান্য সরকারি ছুটিতে দূরদূরান্ত থেকে হাজারো মানুষ এসে শ্রদ্ধা জানান এই শহীদ বীরের প্রতি। সমাধিস্থলে যাওয়ার পথেই মন কাড়ে কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য, আনারস বাগান আর ইঞ্জিনচালিত নৌকার যাত্রা। পর্যটকদের কাছে এটি একাধারে ইতিহাস ও প্রকৃতির মিলনস্থল।
১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল পার্বত্য চট্টগ্রামের বুড়িঘাট এলাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধের সময় মুন্সি আব্দুর রউফ একাই মেশিনগান নিয়ে শত্রুবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ে যান। তাঁর প্রতিরোধে ডুবে যায় শত্রুদের দুটি লঞ্চ ও একটি স্পিডবোট, নিহত হয় প্রায় দুই প্লাটুন সৈন্য। যুদ্ধের এক পর্যায়ে হানাদারদের ছোড়া মর্টার শেলে শহীদ হন এই বীর সেনানী।
স্থানীয় দয়াল চাকমার সহায়তায় তাঁর দেহ পরবর্তীতে সমাহিত করা হয় কাপ্তাই লেকের এই ছোট দ্বীপে। ১৯৯৬ সালে সহযোদ্ধারা সমাধিস্থলটি চিহ্নিত করেন এবং ২০০৬ সালে নির্মিত হয় একটি স্মৃতিসৌধ, যাতে স্থাপন করা হয় একটি রাইফেল আকৃতির ভাস্কর্য।
ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিগামী বাসে পৌঁছনো যায়। খাগড়াছড়ি থেকে নানিয়ারচর হয়ে নৌকায় করে, অথবা রাঙামাটি শহর থেকে গাড়ি ও নৌকা রিজার্ভ করে সহজেই পৌঁছানো যায় সমাধিস্থলে। নানিয়ারচর থেকে দ্বীপটির দূরত্ব প্রায় দেড় ঘণ্টার নৌযাত্রা।