ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ২১ জুলাই ২০২৫
আপডেট : ২১ জুলাই ২০২৫
সোমবার (২১ জুলাই) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি জানায়, এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি)-এর ধারা ৫.৩-এর পরিপন্থী পদক্ষেপ। উল্লেখ্য, এই ধারা অনুযায়ী তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতিমালার ক্ষেত্রে তামাক শিল্পের প্রভাব থেকে সরকারকে সম্পূর্ণ দূরে থাকতে হয়।
আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ বলেন,
“এ সিদ্ধান্ত জনস্বার্থবিরোধী এবং তা তামাক শিল্পকে নীতিনির্ধারণে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ দেবে। এটা শুধু আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ নয়, বরং দেশের দীর্ঘদিনের তামাক নিয়ন্ত্রণ অগ্রগতিকে ব্যাহত করবে।”
তিনি আরও বলেন, তামাকজাত পণ্যের কারণে রাষ্ট্রের স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি রাজস্ব আয়ের তুলনায় বহু গুণ বেশি। সুতরাং, রাজস্বের অজুহাতে তামাক কোম্পানির পরামর্শ গ্রহণ সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও নৈতিকতা পরিপন্থী।
১৩ জুলাই অর্থ উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশের খসড়ার বিষয়ে তামাক কোম্পানিগুলোর মতামত নেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে তীব্র উদ্বেগ জানিয়েছে জনস্বাস্থ্যকর্মীরা।
আহছানিয়া মিশন জানিয়েছে,
“তামাক শিল্পের সঙ্গে সরকার বা নীতিনির্ধারকদের যেকোনো ধরনের ‘সম্পর্ক বা আলোচনার সুযোগ’ এফসিটিসির ধারা ৫.৩ অনুযায়ী স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ।”
বাংলাদেশে প্রতি বছর তামাকজনিত রোগে মৃত্যু হয় প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ এবং পঙ্গুত্ববরণ করে কয়েক লাখ। শুধু জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি নয়, জাতীয় উৎপাদনশীলতা ও অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ঢাকা আহছানিয়া মিশন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে,
তামাক কোম্পানির সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে
এফসিটিসির ধারা ৫.৩ কঠোরভাবে অনুসরণ করতে
সংশোধিত অধ্যাদেশটি দ্রুত চূড়ান্ত ও জারি করতে
এই দাবি শুধু জনস্বার্থের নয়, বরং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
#তামাক_নিয়ন্ত্রণ #এফসিটিসি #আন্তর্জাতিক_চুক্তি #আহছানিয়া_মিশন #স্বাস্থ্যনীতি #বাংলাদেশ_তামাক #ধারা_৫.৩ #জনস্বাস্থ্য #FCCTC_Article53 #তামাক_বিরোধী_আইন