ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫, ০৯:৩৩ এএম
আপডেট: বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫, ০৯:৩৩ এএম
বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের প্রায় ৮৮ শতাংশই তৈরি পোশাক। এর মধ্যে ৭৫ শতাংশ পোশাক তুলাভিত্তিক কাঁচামালে তৈরি। অথচ প্রতি বছর বাংলাদেশের তুলার চাহিদা ৫০০ কোটি ডলার হলেও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি হয় মাত্র ২৫ কোটি ডলারের তুলা — যা ২০ গুণ বাড়ানোর সুযোগ তৈরি করে।
প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় এটি বড় এক সুবিধা। যেমন:
চীন, ভারত ও পাকিস্তান নিজেরাই তুলা উৎপাদন করে, তাই তারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানিতে আগ্রহী নয় বা প্রয়োজনও পড়ে না।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলোতে আমদানি করা তুলা, বিশেষ করে মার্কিন তুলা, ব্যবহার করলে শুল্ক ছাড় পাওয়া সহজ হবে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী:
রপ্তানি পণ্যে ২০% মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহৃত হলে, তার মূল্য অংশে ২০% অতিরিক্ত শুল্ক প্রযোজ্য হবে না।
এই নিয়ম কার্যকর হলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী নেতারা।
র্যাপিড চেয়ারম্যান ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন,
“শুল্কছাড়ের প্রক্রিয়া কীভাবে হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে কার্যকর হলে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ বড় সুবিধা পাবে।”
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন,
“আমাদের পণ্য তুলানির্ভর হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের তুলা ব্যবহারে আমরা স্বভাবতই সুবিধাপ্রাপ্ত হবো। এখন মার্কিন কাস্টমস ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে নিয়ম-কানুন বুঝে নিতে কাজ চলছে।”
বিটিএমএ সূত্রে জানা যায়:
মার্কিন তুলা ভারতের তুলার চেয়ে প্রতি পাউন্ডে ৯–১২ সেন্ট বেশি দামি হলেও,
অপচয়ের হার কম — যা উৎপাদনে দীর্ঘমেয়াদে বেশি লাভজনক।
তুলার উৎস | অপচয় | দাম (প্রতি পাউন্ড) |
---|---|---|
মার্কিন তুলা | ৫–১০% | ভারতের তুলার চেয়ে ৯–১২ সেন্ট বেশি |
ভারতীয় তুলা | ১৫% | তুলনামূলক সস্তা |
আফ্রিকান তুলা | ১২% | কিছুটা সস্তা |
ব্রাজিল | — | মার্কিন তুলার চেয়ে ১২ সেন্ট সস্তা |
বিটিএমএর পরিচালক আলম খোরশেদ বলেন,
“যদি আমাদের কারখানাগুলো পূর্ণ সক্ষমতায় চালানো যায়, তাহলে বছরে ৬০০ কোটি ডলারের তুলা প্রয়োজন হবে।”
তবে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট, এবং ভারত থেকে বৈধ-অবৈধ সুতা আমদানির কারণে অনেক মিল তাদের পূর্ণ উৎপাদন সক্ষমতা ব্যবহার করতে পারছে না।
#বাংলাদেশ_রপ্তানি #শুল্কছাড় #যুক্তরাষ্ট্র_বাণিজ্য #তুলা_আমদানি #গার্মেন্টস_রপ্তানি #BGMEA #BTMA #MadeInBangladesh #BangladeshTextile #USImportPolicy